শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়মাতলুব আহমাদের সফল হওয়ার গল্প

মাতলুব আহমাদের সফল হওয়ার গল্প

pm-matlub১৯৮১ সালে যখন নিটল মটরসের যাত্রা শুরু হয় তখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ছিল স্বামী-স্ত্রী মিলে চারজন। আব্দুল মাতলুব আহমাদ নিজে জাপান থেকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করতেন আর তার স্ত্রী সেলিমা আহমাদ সেগুলো বিক্রি করতেন। সেখান থেকে শুরু। তারপর আর থেমে থাকেননি অক্সফোর্ড গ্রাজুয়েট মাতলুব আহমাদ। আজ নিটল-নিলয় গ্রুপ সাত হাজার কর্মী আর তিন হাজার কোটি টাকার প্রতিষ্ঠান।

তিনি কিভাবে শুরু করলেন, কিভাবে ছোট্ট প্রতিষ্ঠানটিকে বৃহৎ কোম্পানিতে পরিণত করলেন  এসব নিয়ে কথা বলেছেন আমাদের সঙ্গে। নতুন ও উদীয়মান ব্যবসায়ীদের দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দিয়েছেন বিনিয়োগের পথনির্দেশ।

১৯৭০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাই। সেখানে ইকনমিক্স অনার্সে ভর্তি হই। ১৯৭১ সালে আমার বাবা মারা যান। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি। ১৯৭৬ সালে মাস্টার্স শেষ করি। যখন অক্সফোর্ডে পড়ি দেশ তখন নতুন। অনেক দেশ আমাদের ডেকেছিল চাকরি করার জন্য, কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম আমাদের দেশ নতুন, এ দেশকে আমাদেরই গড়তে হবে। আমরা কেন দেশ ছাড়ব? এসব ভেবে আমি লেখাপড়া করেই সোজা দেশে চলে এসেছি। আজকে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মনে হয় যে, সিদ্ধান্তটি ঠিক ছিল। পড়াশোনা করা অবস্থায়ই আমাকে ব্যবসা করতে হয়েছিল। কারণ আমাদের বাবা মারা গেছেন। আমাদেরকেই আমাদের আরনিং করতে হয়েছে। সারভাইব করার জন্যই ব্যবসা করেছি।

ব্যবসায় প্রথম থেকেই যেটা করেছি, সেটা হলো আমার শিক্ষা ও বুদ্ধি দিয়ে প্রোডাক্ট গ্যাপগুলো খুঁজে বের করেছি। এই মুহূর্তে দেশে কোনটা প্রয়োজন সে পণ্য আমরা নিয়ে এসেছি। তখন ব্যবসা ছিল ফুলফিলমেন্ট অব প্রোডাক্ট গ্যাপ। আমার নীতি ছিল, আজ যদি রসুনের শরটেজ হয় তবে কালই আমি রসুন আমদানি করব, পরশু দিন বাজারে দেব। অনেক সময় এয়ার ফ্লাইটে আমরা নিয়ে এসেছি। কারণ, দেশ ছিল নতুন। অনেক জায়গায় শরটেজ বেরিয়ে এসেছিল। আমরা শরটেজ মিট করতাম। এতে পণ্যের দামে স্থিতিশীলতা চলে আসত। ফলে আমাদেরও লাভ হয়েছে, দেশেরও লাভ হয়েছে। ক্রাইসিস সেলকে সবসময় আমরা টার্গেট করেছি। পরে আমরা টাটার সঙ্গে জয়েন্ট ম্যানুফেকচারিংয়ে গেছি। তারপর ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছি।

চলতে গেলে সব সিদ্ধান্তই যে ঠিক হবে, সেটা কিন্তু নয়। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা ব্যাংকের থেকে টাকা নিয়ে ব্যবসা করি। ব্যবসায় লস করেছি, কিন্তু ব্যাংকের কাছে কোনো দিন মাফ চাইনি। আমি যদি লসও করে থাকি, অন্য ব্যবসা থেকে হলেও ব্যাংকের টাকা সবসময় আমি টাইমলি শোধ করে দিই। এভাবে ব্যাংক যদি আপনার বন্ধু হয়ে যায়, তাহলে ব্যবসার কোনো লিমিট নাই। যে কোনো পরিমাণ লোন আপনি পেতে পারেন। সে জন্য ব্যাংককে ঠিক রেখেই ব্যবসা করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনিই উদ্যোক্তা, ব্যাংক নয়। ব্যাংক আপনাকে টাকাটা ধার দিচ্ছে। আপনার লাভ-লোকসানের সঙ্গে যদি আপনি ব্যাংককে জড়িত করেন তাহলে ব্যবসা বড় করতে পারবেন না। সে জন্য আমার পরামর্শ হচ্ছে, ব্যাংককে ঠিক রেখে ব্যবসা করবেন। ডু ইউর বিজনেস উইদিন ইউর লিমিট। আপনি এত বেশি এমবিশাস হয়ে যাবেন না যাতে লস খেয়ে মেকাপ করতে পারবেন না। ব্যবসায় লাভও থাকবে, লসও থাকবে।

আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনো আমাদের ভিশন ছিল বড় হওয়া। স্বপ্ন দেখতে হবে। নতুনদেরকেও আমি বলি তোমরা স্বপ্ন দেখ। স্বপ্ন দেখলে বাংলাদেশ একটা দেশ যেখানে সবকিছু সম্ভব। আজকে যেখানে আছে ১০ বছর পরে সে কোথায় যাবে তার একটা রোডম্যাপ মনে মনে এখনই করে ফেলতে হবে এবং তার এই গড়ার পথে তাদের যে এমপ্লয়িজ আছে, যাদেরকে বলি যে আমাদের পার্টনার, তাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যদি অনেস্ট থাকে, মালিকের ব্যবহারে খুশি থাকে তাহলে সেই কোম্পানির গ্রোথ অনেক বেশি হবে এবং কোম্পানি অনেক দূর যাবে। সে জন্য এমপ্লয়িজ ইজ দ্য মোস্ট ইমপরটেন্ট টপিক ইন এ কোম্পানি। টাকা না, পয়সা না, মেশিনারিজ না, হিউম্যান রিসোর্স হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ব্যবসা করতে গিয়ে আমাদের সামনে তখন যে বাধা ছিল, এখনো সেই বাধা আছে। সেই বাধাটা হলো আপনি ব্যবসা করতে গিয়ে সততার পথে থাকলে আপনাকে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হবে। যারা ট্যাক্স-ভ্যাট দেয় তাদের প্রতিযোগিতা করতে হয় যারা দেয় না তাদের সঙ্গে। আজও এটা বিরাজমান। দেখা যাচ্ছে যে স্ট্রেইট লাইন ফর্মুলায় যারা বিশ্বাসী তাদের ব্যবসা করতে গিয়ে অনেক কঠিন সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। তার পরেও আমি বলব, অনেস্টি ইজ দ্য বেস্ট পলিসি। এবং নতুন প্রজন্ম যারা আছে তাদেরকে আমি সবসময় বলে যাচ্ছি যে, বেশি বেশি করে আয় করবেন। ভ্যাট, ট্যাক্স, ইনকাম ট্যাক্স দেবেন। নিজের সব টাকা হোয়াইট হবে। তখন ব্যবসা আরো বড় হবে। তারা বড় বড় গাড়ি চড়বে। হেলিকপ্টার চড়বে। মাথা উঁচু করে হেঁটে বেড়াবে। বাংলাদেশ বড় লোকদের দেশ এটা প্রমাণ করবে।

নতুন ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেব, বিগত দিনে আমি দেখেছি মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে পাজেরো গাড়ি কিনে ফেলে। এটা ডাইভারসিফিকেশন অব ফান্ড। তাদের লাইফ গড়তে হবে। তাদেরকে খরচ করতে হবে সীমার মধ্যে। তারা অর্থের অপব্যবহার করতে পারবে না। একদিন যখন তারা বড় হবে তখন সবই করতে পারবে। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে। ব্যাংকের টাকা উড়িয়ে দিয়ে সবাইকে দেউলিয়া করার কোনো মানে হবে না।

আমি মনে করি, উদ্যোক্তা হিসেবে আমার সাফল্যের মূল সূত্র হলো দৃঢ়তা, স্বপ্ন দেখা, সব চ্যানেল পার্টনার যেমন ব্যাংক, সরকার, যাদের সঙ্গে ব্যবসা করছি তাদের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা। দৃঢ়তা থাকতে হবে ইন নেগোসিয়েশন অব প্রাইসে, ইন নেগোসিয়েশন অব পারচেজে। আর লিগ্যাল পথে ব্যবসা করতে হবে।

আমি যে কোম্পানি চালাই তার সিস্টেম আছে। মানুষের ওপর বেইজ করে কোম্পানি চালাই না। কোম্পানির একটা সিস্টেম তৈরি করা আছে, যাতে যে কোনো মানুষ বসলেই চালাতে পারে। আজকে আমাদের কোম্পানি কমপ্লিটলি সিস্টেম বেইজড, আইটি বেইজড। কোম্পানির পুরো রেজাল্টই আমার হাতে প্রতিদিন আসে। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে আমি সংশ্লিষ্ট লোককে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেই। আমি এডভাইজ করব, কোম্পানি বড় হয়ে গেলে ফ্যামিলির ওপর চাপ দেবেন না। প্রফেশনাল লোকদের দিয়ে একটি সিস্টেম বেইজড কোম্পানি তৈরি করবেন। তাহলে সফল হওয়া যাবে। আজকে আমরা টাটা থেকে শিখেছি। ১৮০ বছরের পুরনো কোম্পানি টাটা, তারপরও নাম্বার ওয়ান কোম্পানি। কারণ,তারা কমপ্লিটলি সিস্টেম বেইজড।

তরুণদের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে, চাকরির জন্য বসে না থেকে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ব্যবসায় ঢুকে পড়। কেননা চাকরিপ্রার্থীর অনুপাতে বর্তমানে দেশে চাকরির সংখ্যা অনেক কম। এবং এমন একদিন হয়তো আসবে যখন বাজারে নতুন চাকরি থাকবেই না। তাই তরুণদের উচিত, এখন থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া যে চাকরি না পেলে বেকার বসে না থেকে ছোট শিল্প গড়ে তুলব। এসএমই খাতকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের ফান্ডে ৬০০ কোটি টাকা পড়ে আছে, কিন্তু সেটা নেয়ার লোক নেই। কয়েকজন উদ্যোক্তা তাদের অর্থ একত্রিত করে প্রথমে ছোটখাট ব্যবসা, বিশেষ করে ইন্টারনেট বা আইটি লাইনে অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে। তারপর একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছানোর পর সরকারের ফান্ডের জন্য তারা আবেদন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার মানসিকতা থাকা চলবে না, যেটা বাংলাদেশে অনেকের মধ্যে দেখা যায়। আপনাকে প্রথমে কষ্ট করে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে। এখন আপনি বেকার, কিন্তু বিরিয়ানি ছাড়া আপনার লাঞ্চ হবে না Ñ এ ধরনের মানসিকতা থাকলে চলবে না। আপনাকে ধীরে ধীরে উন্নতি করতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে, রাতারাতি কেউ উন্নতি করতে পারে না। আমাদের দেশে অনেক গার্মেন্টস মালিক একটু লাভের মুখ দেখলে পরদিনই পাজেরো বা অন্য কোনো দামী গাড়ি কিনে ফেলে। এটা ভুল। তরুণদের উচিত, প্রথমে ব্যবসা ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং যথেষ্ট সম্পদ অর্জন করা। তারপর অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আরাম-আয়েশ করা।

সামনে আমি চাই দেশ ছাড়াও বিদেশে বিনিয়োগ করতে। বাংলাদেশের সরকারের কাছে আমার আবেদন আছে সরকার যেন ক্যাপিটাল অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়। আমাদের আর ছোট্ট জায়গায় আবদ্ধ না রেখে পুরো পৃথিবীতে যেন আমরা ছড়িয়ে যেতে পারি এবং এক টাকা নিয়ে গিয়ে ১০ টাকা যেন নিয়ে আসতে পারি সেই সুযোগ আমাদের দিলে আমাদের উদ্যোক্তারা উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে।
বর্তমানে বিনিয়োগের নতুন সেরা জায়গা পেট্রোক্যামিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। টেক্সটাইল মিলে জায়গা আছে। লেদার শ্যূ ইন্ডাস্ট্রি, ডাইভারসিফিকেশন অব এক্সপোর্ট ইন্ডাস্ট্রি, ফুড প্রসেসিং প্লান্ট, প্লাস্টিক কাঁচামাল প্লান্ট, বিটুমিন প্লান্ট হলো বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় জায়গা।

৮০ থেকে ’৯০ সালে দেশে একটা উদ্যোক্তা শ্রেণী তৈরি হয়েছিল। এরপর নতুন উদ্যোক্তা শ্রেণী তৈরি হচ্ছে না। পুরনো উদ্যোক্তারাই ঘুরে-ফিরে বিনিয়োগে আসছে। নতুন উদ্যোক্তা না আসার কারণ এনার্জি। এনার্জি কনফারমেশনটা না আসা পর্যন্ত নতুন উদ্যোক্তা এবং বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। আমি বিনিয়োগে যাব, আমি যদি পাওয়ারটা না পাই, তখন আমি কি করব? এই যে একটা অনিশ্চয়তা এখান থেকে সরকারকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি সরকারকে বলেছিলাম যে, চাহিবামাত্রই বিদ্যুৎ পাব এরকম চিঠি আমাকে দিন। তারা কিন্তু দিয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দিলে তো লাভ হচ্ছে না। আসলে তো পাচ্ছে না। এই খবর ছড়িয়ে যায় বাজারে। এই যে দেখো, ইন্ডাস্ট্রি বানিয়েছে এখনো বিদ্যুৎ পায়নি। এমন ঘটনাও আছে, বিদ্যুৎ বা গ্যাসের অভাবে ইন্ডাস্ট্রি দুই বছর বসে আছে। এই অবস্থায় নতুন উদ্যোক্তা কোথা থেকে আসবে? এ জন্যই হচ্ছে না। বাট ইউ সি আমাদের এলসি কিন্তু ১২ শতাংশ বেড়েছে। কিভাবে বাড়ল, যারা আছে তারাই বাড়াতে পারছে। আর নতুন যারা আসছে তারা অনেক জায়গায় বসে আছে।

একচুয়াললি বাংলাদেশ এখন শিল্পবিপ্লবের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আমাদের অর্থনৈতিক জোনগুলো এখন অর্থনীতির চাবিকাঠি। আমাদের যে ইয়াং এন্টারপ্রেনারস এবং ইয়াং ওয়ার্কফোর্স আছে এগুলো হলো আমাদের ট্রাম্পকার্ড। আমাদের যে অ্যাডভানটেজ অব ডুইং বিজনেস, সরকারের যে শিল্পবান্ধব পলিসি এটা আমাদের জন্য একটা বড় সাপোর্ট। শিল্প করার যা যা উপাদান প্রয়োজন, আমাদের সব আছে। যা অন্য অনেক দেশেই নাই। কিন্তু একমাত্র বাধা হলো এনার্জির অনিশ্চয়তা। এই একটি ভাইটাল সাপোর্টের অভাবে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলেশনে দেরি হচ্ছে।

একটি শিল্প প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন বাধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আজকে বিদ্যুৎ সমস্যা দেখা দিতে পারে, কালকে শ্রমিক সমস্যা হতে পারে, এরপর প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সমস্যা নিয়েই কিন্তু আমরা বাঁচি। এসব সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমরা গার্মেন্টস শিল্পে পৃথিবীর সেরা রফতানিকারক দেশ। এ সমস্যাগুলো যদি বাধা হতো তাহলে কিন্তু এই অর্জন সম্ভব হতো না। তার অর্থ হচ্ছে যে এগুলো মূল বাধা নয়। একটা প্রোডাকশনের মধ্যে এনার্জি কস্ট হচ্ছে মাত্র ১৫ শতাংশ এবং সেটা স্থির থাকতে পারে। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। যেমন, লেবার বা শ্রমিকের ক্ষেত্রে আমাদের কস্ট সেভিংস ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া ইউরোপ-আমেরিকাতে পণ্য রফতানি করার জন্য আমাদের এক টাকাও শুল্ক দিতে হয় না। এ ক্ষেত্রে আমাদের সেভিংস হচ্ছে ২২ শতাংশ। এসব বিষয় বিবেচনায় আনলে দেখা যাবে, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখনো বিশ্বের অন্যতম সেরা জায়গা।

নতুন উদ্যোক্তাদের প্রতি আমার পরামর্শ, সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করো। কঠোর পরিশ্রম করো, তবে স্মার্টলি। নির্ভয়ে বিনিয়োগ করো, তবে বিচক্ষণতার সঙ্গে। ভুলগুলো নির্মমভাবে পরিত্যাগ করো, তবে সুকৌশলে। তোমার কাছে যদি একটি পণ্য বা সেবা থাকে যা বাজারের গ্যাপ পূরণ করবে, এটাই তোমার উদ্যোক্তা হওয়ার সেরা সময়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ