সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে ‘হৃদরোগ সচেতনতা, চিকিৎসা: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । ৩ জুলাই সাদার্নের মেহেদিবাগ ক্যাম্পাসে এ সেমিনারের আয়োজন করে সাদার্ন ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি বিভাগ ও মাসিক দখিণা। এতে সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিলো ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নুরুল মোস্তফা। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএফসি হেলথ ফর্টিস হার্ট ইনিস্টিটিউট চট্টগ্রামের চিফ কনসালটেন্ট ও পরিচালক ডা. এ এম শফিক। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ এ এস এম মোস্তাতাক আহমেদ, সার্দান ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের উপদেষ্টা দোলন ঘোষ দস্তিদার, কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সরওয়ার কামাল, প্রফেসর ড. শরীফুজ্জামান, সাদার্ন ইউনিভার্সিটির ফার্মাসি বিভাগের প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ মহিউদ্দীন চৌধুরী, ইন্টারভেনশনাল কনসালটেন্ট কার্ডিওলোজিস্ট ডা. মো. আখতার হোসাইন ও মাসিক দখিণার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুশফিক হোসাইন। মূল প্রবন্ধে উপস্থাপনের সময় ডা. এ এম শফিক জানান, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বাতজ্বর জনিত হৃদরোগের হার এখন হ্রাস পেলেও জন্মগত হৃদপিন্ডের নিজস্ব রক্তসররাহের ঘাটতি এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন জনিত হৃদরোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
তিনি জানান, জন্মগত ত্রুটি পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না হলেও গর্ভকালীন সময়ে এক্সরে এবং ওষুধ সেবনে সাবধানতা অবলম্বন করা, পঁয়ত্রিশোর্ধ বয়সে ১ম সন্তান গ্রহণ না করা এবং বহুমূত্র নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জন্মগত ত্রুটিজনিত হৃদরোগ হার কমানো সম্ভব হবে। এসময় তিনি হৃদরোগের বিশ্ব্মানের চিকিৎসা চট্টগ্রামেও সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে সার্দান ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবার প্রতি মানুষের আস্থা অর্জনে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উচ্চ মহল। যদি তারা নিজেদের চিকিৎসা দেশে করেন তবে সাধারণ মানুষের মনেও আস্থা তৈরি হবে। এতে চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত হবে।
