রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের সেনা প্রধানকে অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন সফররত আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির প্রেসিডেন্ট পিটার মাউরা। ২ জুলাই সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা জানান রেডক্রস প্রধান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে পিটার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। পিটার বলেছেন, এটি একটি বিরাট মানবিক সমস্যা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১৩০টি গ্রাম পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা শেখ হাসিনার সামনে তুলে ধরেন পিটার। তিনি জানান, মিয়ানমারের সেনা প্রধান, সুশীল সমাজের সদস্য এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুর সঙ্গে কথা বলেছেন। মিয়ানমারের কর্মকর্তারা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রোহিঙ্গাদের বসবাসের সহায়তায় আইসিআরসি’র কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সফরের জন্য আইসিআরসি’র প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশের মতো একটি ছোট ভূখন্ডে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ দেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আইসিআরসি’র কাজে তার সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
পিটার জানান, তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১৩০টি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। সেখানে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি ধংসের চিহ্ন দেখে তিনি মর্মাহত হয়েছেন। তিনি বলেন, রাখাইনে এখনো প্রায় ২৫০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে। সেখানে তাদের জন্য বসবাসের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। আইসিআরসি সেখানে রোহিঙ্গাদের বসবাসের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি এবং তাদের নিরাপদ পুনর্বাসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। পিটার মাউরার বৈঠকে আইসিআরসির আর্কাইভ থেকে বঙ্গবন্ধুর দু’টি ছবি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহম্মদ জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
