শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মাছ আমদানিতে ক্ষতিকর জীবাণু রোধে আইন

মাছ আমদানিতে ক্ষতিকর জীবাণু রোধে আইন

02-07-18-PM_Cabinet meeting-6মাছ আমদানির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক জীবাণু বহন প্রতিরোধে শাস্তির বিধান রেখে নতুন একটি আইনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ২ জুলাই মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘মৎস্য সঙ্গনিরোধ আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মাছ আমদানির ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতিকারক জীবাণু বহন করে বা নিয়ে আসে সেটার জন্য কোনো আইন নেই। সবজির জন্য আইন আছে, এ আইনটি নতুন তৈরি করা হয়েছে।

মাছ আমদানির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমদানি বলতে জল, স্থল, আকাশপথে অন্য কোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে কোনো পণ্য আনা। মৎস্য বলতে সব ধরনের কোমল ও কঠিন অস্থিবিশিষ্ট মাছ, স্বাদু ও লবণাক্ত পানির চিংড়ি, উভচর জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, কুমির, কাঁকড়া জাতীয় প্রাণী, শামুক বা ঝিনুক জাতীয় জলজ প্রাণী, ব্যাঙ বা সরকারি প্রজ্ঞাপনে ঘোষিত জলজ প্রাণী।

আইনে একটি সঙ্গনিরোধী কর্তৃপক্ষ গঠিত করার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই দায়িত্ব পালন করবে মৎস্য অধিদফতর। কর্তৃপক্ষকে অনেকগুলো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশ থেকে বাংলাদেশে মাছের রোগ-জীবাণু অনুপ্রবেশ ও বিস্তার রোধে মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্যাদির আমদানি নিয়ন্ত্রণসহ ১০টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন আইন পৃথিবীর মোটামুটি প্রায় সব দেশেই আছে, আমোদের দেশে ছিল না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এই আইনে নতুন বিধান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পুলিশ, র‌্যাব, কাস্টমস, বিজিবি, কোস্টগার্ড, ডাক বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রেলওয়ে, শিপিং এজেন্সিসহ সমজাতীয় এজেন্সিগুলোর কর্মকর্তা এ আইনের পরিপন্থি কার্যক্রম রোধ করতে পারবেন। এছাড়া মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রয়োগ ও সহায়তা করতে পারবেন।

আইন লঙ্ঘনে শাস্তির বিধান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অনুমতি ছাড়া মৎস্যপণ্য আমদানি করলে সর্বনিম্ন ১ বছর ও সর্বোচ্চ ৭ বছর করাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কোম্পানির ক্ষেত্রে তার পরিচালক, অংশীদার, ম্যানেজার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা আমদানি করলে অপরাধ হবে, ব্যক্তির অপরাধের মতো সাজা হবে যদি নির্দোষ প্রমাণ করতে না পারে।

মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তার অনুমোদন ছাড়া কোনো আদালত এ মামলা নেবে না বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তবে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করতে পারবে না। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল কোর্টেও বিচার করা যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনের অধীন লিখিত আদেশে কোনো আমদানি অনুমতিপত্র গ্রহিতা সংক্ষুব্ধ হলে ওই ব্যক্তি আদেশপ্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিকার লাভের উদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে আপিল করতে পারবেন। আপিল দাখিলের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ