বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দাবি করেছেন, তারেক রহমানের এক বক্তব্যেই সরকারের ভিত নড়ে উঠেছে। আজ বুধবার সকালে হরতাল চলাকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।
তারেক রহমানের মুক্তির দাবি জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, তাঁরা প্রত্যাশা করছেন, সরকার তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিস্থিতি তৈরি করবে। তিনি বলেন, যেদিন তারেক রহমান ঢাকায় নামবেন, সেদিন শেখ হাসিনা সরকার বুঝতে পারবেন ‘বাংলাদেশের বীরের সন্তান, গণতন্ত্রের মানসপুত্র তারেক রহমান কত জনপ্রিয়’।
শামসুজ্জামান অভিযোগ করেন, ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। কখনো তাঁকে আইন দিয়ে, কখনো গণমাধ্যম দিয়ে, আবার কখনো তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণায় বুদ্ধিজীবীদের ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এসবের ফল শূন্য।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা হয়েছিল। এই মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে ভাসানীর নেতৃত্বে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ওসব মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছিল। যুগে যুগে দেশপ্রেমিকদের ক্ষেত্রে এ ধরনের বাধা এসেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিএনপির চেয়ারপার্সনের এ উপদেষ্টা বলেন, “বিএনপি নেতাকর্মীরা সহ সারা দেশের মানুষ এখন তারেক রহমানের প্রতীক্ষায়।” জনগণের আকাঙ্খার প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারেক রহমান যেন স্বাভাবিকভাবে দেশে ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, “এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, সবাই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, কিন্তু জনগণ সেই অপপ্রচার গ্রহণ না করে প্রত্যাখ্যান করেছে।” তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, “যেদিন বিমানবন্দরে তারেক রহমান নামবেন সেদিন জনতার ঢল নামবে।”
তিনি বলেন, “ওয়ান ইলেভেনের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মামলা দেওয়া হয়। এ রকম মামলা পাকিস্তানিরা শেখ মুজিবের বিরুদ্ধেও দিয়েছিলো। কিন্তু মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া আন্দোলনের কারণে সব মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয় তারা। একই ভাবে তারেক রহমানের মামলাও প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে সরকার।“