শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপকুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

কুষ্টিয়ার মিরপুরের চিথলিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত স্কুলছাত্র দেবদত্ত হত্যা মামলার প্রধান আসামি  জোয়ার আলী (২৫) ও নাইম আলী (২৩) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন এবং ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুইটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর ব্রিজের কাছে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, স্কুলছাত্র দেবদত্ত হত্যা মামলার  প্রধান আসামি নাইম ইসলামকে নিয়ে অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ। উপজেলার চিথলিয়ার পাহাড়পুর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাইম ইসলাম ও জোয়ার আলী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে।

এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় পুলিশের এসআই লাল চাঁদ, এসআই এমদাদুল হক, এএসআই রুহুল আমীন ও এএসআই সাইফুল ইসলাম আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পিস্তল ও দুইটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত অপহরণকারী নাইম ইসলাম মিরপুর উপজেলার চিথলিয়ার জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং জোয়ার আলী একই এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই আলম সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজন শিশুছাত্র দেব অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি  ছিলেন। এ ছাড়া এই অপহরণের সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে বের হলে নিজ গ্রামের রাস্তা থেকে দুই মোটরসাইকেল আরোহী চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র দেব দত্তকে অপহরণ করে। এরপর অপহরণকারীরা ওইদিন বিকেলে দেব দত্তের বাবার ফোনে দেবের মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। গতকাল ২৫ জুন দুপুরে পুলিশ মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামে নাইম আলীর বাড়ির বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকি খুড়ে শিশু দেব দত্তের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ