রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়সংরক্ষিত নারী আসন আরো ২৫ বছর বহালে বিল পাসের সুপারিশ

সংরক্ষিত নারী আসন আরো ২৫ বছর বহালে বিল পাসের সুপারিশ

আগামী ২৫ বছর জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন একইভাবে বহাল থাকবে। এ জন্য সংবিধান সংশোধন করতে সংসদে উত্থাপিত ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল ২০১৮’ বিল পাসের সুপারিশ করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। বুধবার সংসদে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সংসদীয় কমিটির সদস্য শামসুল হক টুকু। সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বের পর সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে ১৯৭৩ সাল থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চালু হয়। এই আসন ১৫টি থেকে বেড়ে এখন ৫০টিতে দাঁড়িয়েছে।

সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় সংশোধনীর প্রস্তাব করে বিলে বলা হয়েছে, ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন ২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হতে শুরু করে ২৫ বৎসরকাল অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত ৫০টি আসন কেবল নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এবং তাঁরা আইন অনুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবেন।’

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকার কারণে সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। সর্বশেষ সংশোধনী অনুযায়ী সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ এর দফা (৩) এর বিদ্যমান বিধান অনুযায়ী বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসনের ১০ (দশ) বছর মেয়াদ ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ শেষ হবে। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে ওই সময় অতিবাহিত হওয়ার পর জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য কোনো আসন সংরক্ষিত থাকবে না। সংরক্ষিত আসনের প্রয়োজনীয়তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যদের নিয়ে গঠন করতে হলে দশম সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় সংবিধানে এ সংক্রান্ত বিধান সংশোধন করা আবশ্যক।

সংসদ অধিবেশনে আরো দুটি বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তা পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ‘ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বিল ২০১৮’-এর ওপর প্রতিবেদন জমা দেন। আর ‘আবহাওয়া বিল ২০১৮’ পাসের সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রথম ও দ্বিতীয় রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছেন কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমি। প্রতিবেদনে সংসদীয় কমিটির কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ