শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনচট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। তবে দেশীয় পোশাকের তুলনায় গাউন, লাসা, কোটি ফ্রক, ব্রাইডাল গাউন, বাবরির মতো হরেক রকমের ভারতীয় পোশাকে আকৃষ্ট হচ্ছেন তরুণীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ফ্যাশনে বৈচিত্র্য ও আকর্ষণীয় ডিজাইন হওয়ার কারণে এ ধরনের পোশাকের প্রতি ক্রেতারা আগ্রহী হচ্ছেন। চট্টগ্রামের মিমি সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট (বিপনী বিতান), আফমি প্লাজা ও সানমার ওসান সিটিসহ বেস কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের শোরুমগুলোয় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনাও হচ্ছে দেদারসে।

এখানকার প্রায় প্রতিটি শোরুমে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ভারতীয় পোশাক। অনেকেই এসব পোশাক ডিসপ্লে করেছেন বার্বিডলে। তরুণীরাও ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর পছন্দ হলে কিনে বাড়ি ফিরছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় গাউন, লাসা, ব্রাইডাল গাউন, বিশেষ ধরনের বাবরি ড্রেস। এ ছাড়াও ভারতীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে ইস্তা, বিনয়, পায়েল, বর্ষা, বাণী, জয়, গঙ্গা, ঘাগরা ও লেহেঙ্গা। এছাড়াও রয়েছে শাড়ি থেকে শুরু করে থ্রিপিস, শর্টপিস, লেহেঙ্গা ও কামিজ। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শপিং সেন্টার নিউ মার্কেটে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা ঈদ পোশাক বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা।

শোরুমের দায়িত্বশীলরা বলেন, ভরপুর ঈদ বেচাকেনা হচ্ছে। ক্রেতারা রোজার শুরু থেকেই এবার ভিড় করছেন। আর ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, এই ভিড় আরও বাড়ছে। মনে হচ্ছে, রমজানের শেষদিকে বেচাকেনা আরও বাড়বে। আর এবার পাকিস্তান, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের পোশাকে ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তারা বলেন, এ বছর মেয়েদের মধ্যে ছোটদের মুম্বাইয়ের থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। বড়দের ১৯ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। লেহেঙ্গা ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। ছোটদের টপস বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকা, বড়দের ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া পকিস্তানি জুতা মিলবে ১৬শ’ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।

একই শোরুমে নগরীর খুলশী এলাকা থেকে আসা নাসরিন সুলতানা বলেন, ঈদে গর্জিয়াস পোশাক না হলে হয় না। তাই প্রতিবছর দেশীয় পোশাকের সঙ্গে ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাক না কিনলে হয় না। এছাড়া এসব পোশাকের কাজগুলো অনেক আকর্ষণীয় হয়। তাই প্রতি ঈদেই কেনা হয়। এবারও কিনব। এজন্য ঘুরে দেখছি, পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব। ন্যান্সি আকতার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সারা বছর দেশি পোশাক কেনা হলেও ঈদ উপলক্ষে বাহারি ডিজাইনের কাপড় কেনা হয়। ভারতীয় পোশাকগুলোর ডিজাইনে অনেক বৈচিত্র্য আছে, যা দেশি কাপড়ে পাওয়া যায় না। তাই প্রতি ঈদে আমদানি করা পোশাকই পছন্দের শীর্ষে থাকে।
এদিকে মিমি সুপার মার্কেটের প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ভারতীয় থ্রি-পিস দামাদামি করে কিনছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারাও একেক নামে হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন ভারতীয় পোশাক।

সেখানে মেয়ের জন্য জামা কিনতে আসা প্রবাসী মো. জমির উদ্দিন বলেন, বাসা থেকে মেয়েরা বলে দিয়েছে কী পোশাক আনতে হবে। মনে হচ্ছে, ভারতীয় সিরিয়ালের কারণেই এসব পোশাকের প্রতি মেয়েদের আগ্রহ বেশি। তাই দুই মেয়ের জন্য দুটি ভারতীয় কোটি ফ্রক কিনে বাড়ি ফিরছি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে প্রতিবছরের মতো এবারও ভারতীয় পোশাক দোকানে তুলেছেন। ডিজাইন ও বৈচিত্র্যের কারণে এসব কাপড়ের প্রতি ক্রেতাদের সব সময় আকর্ষণ বেশি থাকে। তাই বিক্রিও ভালো হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার ভারতীয় গাউন ৫-১৫ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। ব্রাইডাল গাউন বিক্রি হচ্ছে ৯ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। ভারতীয় কাতান ও বেনারসি কাতান বিক্রি হচ্ছে ১০-১৭ হাজার টাকা। এছাড়া কাশ্মীরি সিল্ক বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ