বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদফিচারএকজন নিভৃতচারী প্রচার বিমুখ আদর্শিক স্বাচিপ মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ

একজন নিভৃতচারী প্রচার বিমুখ আদর্শিক স্বাচিপ মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ

প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকে এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করার। যারা মহান তারা কেবল নিজেই এভারেস্ট জয় করেন না পর্দার অন্তরাে বসে নিরবে-নিভৃতে অন্যকেও টেনে তুলেন এবং অন্যের মাঝেও সেই স্বপ্ন বুনে দেন। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখনকার বইয়ের পংক্তিমালা বা লাইনগুলো মনে না থাকলেও ‘ভবিষ্যতে কি হতে চাই’ সে স্বপ্নের বীজ ঐ শৈশবেই রোপিত হয়েছিল। দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের পুস্তকে  লেখা থাকে ‘আমি বড় হয়ে ডাক্তার হব, গরীব দু:খী মানুষের সেবা করব।’  ‘আসলে যারা স্বপ্ন দেখতেন চিকিৎসক হব, গরীব দু:খী মানুষের সেবা করব।’ তারা কি সত্যই চিকিৎসক হয়ে পেরেছে? না। চিকিৎসকদের জীবনের আনন্দ উপভোগ করার সময় চলে যায় পড়াশুনা ও রোগীর সেবা করার মধ্য দিয়ে। বলা চলে, সংসার জীবন যুদ্ধে দরিদ্র অসহায় সৈনিক হয়ে জীবন পার করেন চিকিৎসকরা। প্রায়ই পেশাগত জীবনে এ অসহায় সৈনক জীবন যুদ্ধের বাইরেও ভিন্ন মতাদর্শের স্বজাতি দ্বারা অবহেলার শিকার হন ।
চিকিৎসক মানেই সুস্থ্য চিন্তুার অধিকারী হবেন এমন নয়, অসুস্থ্য এবং রুগ্ম মস্তিস্কের রাজনীতির শিকারও হন তারা। এ রাজনীতি লবিং বাজীর রাজনীতি, তেলবাজির রাজনীতির, তোষামোদ করে পদধারী নেতা হওয়ার রাজনীতি। এখানে চিকিৎসকদের নিরন্তর সংগ্রাম করে টিকে থেকে গরীব মানুষের সেবা করতে হয়। লড়াই সংগ্রাম করতে হয় অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ।
 এখন প্রশ্ন হল এ রাজনীতি তবে করার প্রয়োজন কী? প্রশ্নটি অবান্তর মনে হলেও বাস্তবতা এই,বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে রাজনীতির মাধ্যমে। বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতেই রাজনীতির প্রয়োজন আছে। শুধু দেশ নয়। বরং পরিবার, সমাজ রাষ্ট্রে সুশৃঙ্খলায় বজায় রাখার জন্য রাজনীতির বিকল্প নেই । আধুনিক উন্নয়নশীল বিশ্ব ব্রহ্মাÐে এমন কোন দেশ শান্ত ও শান্তির দেশ পাওয়া যাবে না যেখানে রাজনীতি ছাড়া টিকে আছে। বরং যেখানে রাজনীতি নিষিদ্ধ সেখানে রয়েছের চরম অন্তঃকলহ, চরম দ্ব›দ্ব। তারা উদাহরণও দেওয়া যাবে ভুরি ভুরি। ইতিহাস ও পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর বিভিন্ন ঘটনাগুলোর স্বাক্ষ্য দেয়, বিশ্বের মানবজাতির অগ্রযাত্রার শুরুর পর থেকেই রাজনীতির চর্চা চলে আসছে। শুধু তাই নয়। ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে ভুরি ভুরি উদাহরণ পাওয়া যাবে, রাজনৈতিক জ্ঞান প্রয়োগ কওে অনেক বড় বড় বিবাদ মিটানো হয়েছে। মানব জনম টিকিয়ে রাখতে রাজনীতির কোন বিকল্প নেই।
রাজনীতির সুমিষ্ট ফল আমার প্রাণ প্রিয় বাংলাদেশ সৃষ্টি।
বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নিতে এ দেশের ত্রিশ লক্ষ মানুষের প্রাণ দিতে হয়েছে। সেখান থেকেই বাংলাদেশে দুটো রাজনীতির ধারা সৃষ্টি হয়েছে। একটি স্বাধীনতার স্বপক্ষের ধারা, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে রাজনীতি করে অন্যটি হল মানুষের রক্ত পিপাসু ধারা; যারা আজকের জামাত বিএনপির মত জীবন্ত স্বপ্ন জয়ী মানুষ  আগুনে পুড়ে হত্যাকারী। এই জামায়াত বিএনপির জন্মই হল ‘খুনাখুনি আর অন্যর তাবেদারে গিয়ে দফাদারি করার মধ্য দিয়ে।’ বিএনপির জন্ম হয়েছিল সেনা ব্যারাকে এক রক্তাক্ত অভ্যত্থানের মধ্য দিয়ে। আর জামাত সৃষ্টি হয়েছে দেশকে জঙ্গীবাদ রাষ্ট্র কায়েম আর নির্বিচারে বাঙালী নিধনের ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। আর এ বিএনপি জামায়াত সুযোগ পেলেই  মানুষ হত্যা করে রক্তের হলি খেলায় মেতে ওঠে। এ দুই চক্র সুকৌশলে চিকিৎসকদর হাত করে দেশের নিরীহ জনগণকে মৃত্যুর মুখে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে সর্বদা ব্যস্ত রয়েছে। এরা সর্বদা ব্যস্ত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। কারণ মানুষের চারটি মৌলিক চাহিদা অন্ন-বস্তের, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। এদের যেকোন একটিতে গোল পাকিয়ে দিলেই সরকার ব্যর্থ হবে, দেশ পরিণত হবে  ব্যর্থ রাষ্ট্রে। তবে চিকিৎসা বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর এদের প্রতিহত করতেই ১৯৯৩ সালে বঙ্গববন্ধুর আদের্শে গড়ে ওঠেছে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। কিন্তু সেখানেও এ খুনী চক্র ভোল পাল্টে ঢুকে পড়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন না করেও তারা এ সংগঠনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। যার ফলে দেশের শীর্ষ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সরকারের স্বাস্থ্য খাতকে লুটেপুটে খাচ্ছে এ খুনী চক্র।
এদের প্রতিহত করার জন্য স্বাচিপ নেতাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করার কথা থাকলেও তা জামায়াত প্রীতি থাকার কারণে হচ্ছে না।  আর যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সেই ছোট সময় থেকেই বড় হওয়ার প্রতিটি স্তরে স্তরে সেই আদর্শের পথে কাজ করছেন তারা আজও লড়াই করে যাচ্ছেন। অন্তরে দেশ ও মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে নীরবে নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক স্বাচিপ নেতা। আগলে রেখেছেন তার আদর্শের স্ব-জাতী ভাইদের। এ পেশাই তেমনি একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী প্রচার বিমুখ মানুষ চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। যার জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন ও প্রচার করে। সততা ও ন্যায় নীতির কাছে তিনি কখন হার মানেন নি। শত্রু পক্ষ বার বার তাকে পেশাজীবী রাজনীতি থেকে সড়িয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু তার কর্মীদের ভালবাসা;  সে ষড়যন্ত্র নৎসাদ করে দিয়েছে বারংবার । তাই আওয়ামীলী দল যখন ক্ষমতার বাইরে তখন তিনি তার সমকালীন আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন । সেখান থেকেই জামায়াত বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধী অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়েছেন । তার পুরষ্কারও দিয়েছেন বঙ্গকন্যা আওয়ামীলীগ সভাপতি দেশরত্ম বিদ্যানন্দিনী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালে ১৮ নভেম্বর আওয়ামীলীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্রাতৃপ্রতিম পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ‘মহাসচিব’ পদে অধীষ্ঠিত করেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে স্বাচিপের নিবন্ধিত প্রায় ১৫ হাজার সদস্যের পাশাপাশি প্রায় লক্ষাধিক মেডিকেল পড়–য়া শিক্ষার্থী এবং চল্লিশ হাজার চিকিৎসক জ্ঞাতকা জ্ঞাপন করেন।
অধ্যাপক ডা.  এম এ আজিজের রাজনৈতিক জীবন লক্ষ্য করলে দেখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ যখন বিরোধীদলে যখন দলীয় নেতাকর্মীরা বিএনপি জামায়াত দ্বারা আক্রা›ত তখন পেশাজিবী পরিষদের ব্যানারে এই আজিজরাই এগিয়ে এসেছিলেন। ভূমিকা রেখেছিলেন রাজপথ, সভা-সেমিনারে। আওয়ামীলীগ দল যখন ক্ষমতার বাইওে তখর নানান চাপ ভয় ভিতে তারা আদর্শ্যচ্যুত হননি। বরং বর্তমান সময়ের মত তাদের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এবং অনুজদের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শেও প্রতিচ্ছবি হিসেবে। সে লড়াই সংগ্রামের অগ্রসৈনিক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ ।
অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার ৬নং চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর বড়বিলা গ্রামে এক আওয়ামী পরিবাওে ১৯৬০ সালের ৩১ মে  জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা হাসান আলী ছিলেন একজন আওয়ামীলীগের কর্মী। অধ্যাপক  ডা. এম এ আজিজ মৃত্যুঞ্জয় উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বোর্ডের অধীন বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে বিখ্যাত আনন্দমোহন কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৭৮ সালে একই বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। আর সেখান থেকেই সক্রিয়ভাবে আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত হন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে তার পথ চলতে থাকে বিদ্যুৎ গতিতে। তাকে আর ফিরে তাকাতে হয় নি পিছনে। ১৯৮৩ সালে শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং পরের বছর ১৯৮৪ সালে অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ ভারমুক্ত হয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ ছাত্র সংগঠনের। একই বছর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ সালে এমবিবিএস পাস করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ), ময়মনসিংহ শাখার সেন্ট্রাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে এ সংগঠনের নেত্রকোনা জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করার ফলে তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্রাতৃপ্রতীম পেশাজীবী  চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ)  কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য পদে মনোনিত হন। ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন আইপিজিএম এন্ড আর এর হোস্টেল ওয়েল ফেয়ার কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকও তিনি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বিএমএ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন।  এর দুই বছর পর ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হন।  ২০০১  সালে যখন আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনে হেরে যায় তখন আওয়ামী লীগের সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতীম, অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বিএনপি জামায়াতের রোষানলের ভয়ে সব দলীয় সাংগঠনিক দায় দায়িত্ব থেকে দূরে সড়ে পালিয়েছেন। তখন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দৃঢ় থেকে আওয়ামীলীগের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেও (স্বাচিপ) সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনিত হন। আওয়ামী সরকার বিরোধী থাকাকালীন সময়ে তিনি বিভিন্ন সময়ে সভা সেমিনার মাঠে ময়দানে বিএনপি জামাত জোটরে বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। এর পর ২০০৯ সালে বিএমএ এর যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কর্মকাÐ সহজভাবে পরিচালনা করার জন্য ২০১০ সালের ৪ ঠা জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল  বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতা পেশা থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন।  এর পরে থেকে তিনি ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগ দান করেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরীকালীন সময় সরাসরি রাজনীতি করায় বাধা নিষেধ না থাকায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চিকিৎসকদের কাছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন। ঐক্যবদ্ধ করেছেন স্বাধীনতা স্বপক্ষ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালনকারী চিকিৎসকদের। পাশাপাশি বিগত এক যুগ ধরে নিজ নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহ -৪ আসন ছাড়াও দেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয় বন্যার মত দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে চিকিৎসা সেবা নিয়ে দুস্থদের কাছে ছুটে চলেন তিনি।গেল বছর বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণও পৌঁছে দিয়েছেন।বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ যাতে না ছড়াতে পারে সে ব্যাপারে তার স্বাচিপের নেতা কর্মীদের দুর্গত এলাকায় অবস্থান নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের অনেগগুলো হেলথ ক্যাম্পে নিজে উপস্থিত থেকে দুস্থদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৃথিবীর দ্বিতীয় ঈশ্বর খ্যাত চিকিৎসক যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চলে তাদের দক্ষ হাতে সংগঠিত করে রেখেছেন। ২০১২ সালে ফের তার স্বীকৃত স্বরূপ তিনি বিএমএর এর যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি ডা.সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ও ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালের চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসারের (সিইও) দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি স্বাচিপ মহাসচিব প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ এবার ২০১৮ সালে জানুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট সিনেট নির্বাচনে বিপুলে ভোটে সিনেট সদস্য নির্বাচিত হন।
আজ এই বহুগুণান্বিত চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডা. এম  এ আজিজের ৫৮ তম শুভ জন্মদিন। শুভ জন্মদিনে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, মৃত্যুর একদিন আগ পর্যন্ত অসহায়, দরিদ্র ও পীড়িত জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যেতে। তিনি সবার কাছে দোয়া ও আর্শিবাদ চেয়েছেন।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ