বৃহস্পতিবার, মে ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপাহাড়ক্ষয় রোধে থাই রাজকন্যার বিন্নাঘাস রোপণ

পাহাড়ক্ষয় রোধে থাই রাজকন্যার বিন্নাঘাস রোপণ

পাহাড়ক্ষয় রোধে দেশের প্রথম বিন্নাঘাস (ভেটিভার) প্রকল্প বা ‘ভেটিভার’ গ্রাস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের উদ্বোধন করলেন থাইল্যান্ডের রাজকন্যা সাইপাট্টানা ফাউন্ডেশনের মহাচক্রী সিরিনধরণ। এসময় থাই রাজকন্যা নগরের বাটালি হিলের মিঠা পাহাড়ের পাদদেশে বিন্নাঘাসও রোপণ করেন। ৩০ মে সকালে বিন্নাঘাসের এ পাইলট প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এসময় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। বাংলাদেশ সরকার ও থাইল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে এ পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ও থাইল্যান্ডের সাইপাতানা ফাউন্ডেশন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের দেশ বাংলাদেশ। অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ক্ষয় হয়। পাহাড়ধসে অনেক মানুষ মারা যায়। এ পাহাড়ক্ষয় রোধে বিন্নাঘাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চসিকের উদ্যোগে বাস্তবায়িত বিন্নাঘাস প্রকল্পের জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে ২ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।

চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় শহর। চট্টগ্রাম শহর পাহাড় বেষ্টিত। এখানে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ক্ষয় হয়। পাহাড়ের মাটি এসে শহরের নালাগুলো ভরে যায়। এতে নালার পানি নিষ্কাষণ বন্ধ হয়ে জলযট দেখা দেয়। এসব বিষয় বিবেচনায় এনে পাহাড়ক্ষয় রোধে বিন্নাঘাস প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ভেটিভার নিয়ে গবেষণা করছেন। যার ধারাবাহিকতায় এ ধরনের সেন্টার এদেশে এটিই প্রথম প্রতিষ্ঠিত হলো। এ সেন্টারটির উদ্দেশ্য হলো বিন্নাঘাসের ব্যাপক ব্যবহার সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ, ওয়ার্কশপ আয়োজন করা। বুয়েটের সাথে যৌথভাবে পাহাড়ধস নিরসনে এর ব্যাপক ব্যবহার করা হবে।’

বিন্নাঘাসের উদ্ভাবনকারী বুয়েটের অধ্যাপক বিজ্ঞানী ড. শরীফুল ইসলাম। নগরের বাটালি হিল মিঠা পাহাড়ের পাদদেশে ভেটিভার (বিন্নাঘাস) সেন্টার ও ট্রেনিং সেন্টার প্রকল্পের কাজ করছে মেসার্স জয় ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এর আগে থাইল্যান্ডের রাজকন্যা মহাচক্রী সিরিনধরন এবং সফরকারীদল ৩০ মে সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা থেকে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামে আসেন। দুপুরে থাই রাজকন্যা স্থাপত্য শিল্পের প্রাচীন নিদর্শন কোর্ট বিল্ডিং, সিআরবি ও জাদুঘর পরিদর্শনের কথা রয়েছে। পরে চট্টগ্রামে দিনব্যাপী কর্মসূচি শেষে একইদিন বিকেল ৫টা রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরে যাবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ