প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে অনেক সমস্যা থাকলেও ধীরে ধীরে সেগুলোর সমাধান হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিদ্যমান সমস্যাগুলোরও সমাধান হবে বলেও তিনি আশাবাদ জানান। শুক্রবার দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন শেষে রাখা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এর আগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই প্রতিবেশী দেশ, আমরা সবসময় এক হয়ে চলতে চাই। কারণ আমরা চাচ্ছি যে, হ্যাঁ, একটা প্রতিবেশী দেশ থাকলে সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আমরা কিন্তু সমস্যাগুলো একে একে সমাধান করে ফেলেছি। হয়তো কিছু বাকি, কিন্তু সে কথা বলে আমাদের এই চমৎকার অনুষ্ঠান নষ্ট করতে চাই না। কিন্তু আমরা আশা করি, যেকোনো সমস্যা আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশের মাধ্যমেই সমাধান করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা এবং বাংলাদেশের মানুষ, দরিদ্র বুভুক্ষু মানুষের জন্য, শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য, আমার বাবা সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর আকাঙ্ক্ষাটা যেন পূর্ণ করতে পারি, সেটাই আমি আশা করি। আমি বিশ্বাসী, আমাদের পাশে ভারতের মতো বন্ধু দেশ আছে। অন্যান্য প্রায় সব দেশ থেকে আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি। কাজেই আমরা মনে করি, আমাদের অভিষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছাতে পারব। পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশ ও ভারত দুটি আলাদা দেশ হলেও দুই দেশের সংস্কৃতির মিল রয়েছে জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এই ভবন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা দেবে।
আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তিনিকেতনে যান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে শেখ হাসিনা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক চলে এই সমাবর্তন অনুষ্ঠান। এরপর তারা শান্তিনিকেতনের বাংলাদেশ ভবনে যান। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন ‘বাংলাদেশ ভবন’।