সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়আমাদের স্বার্থ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত, শান্তিনিকেতনে মোদি

আমাদের স্বার্থ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত, শান্তিনিকেতনে মোদি

25-05-18-BD PM_Indian PM_Bangladesh Bhaban Openning-1পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে পা রেখেই আবেগঘন হয়ে পড়েন বিশ্বভারতীর আচার্য তথা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আম্রকুঞ্জের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোদি বাংলায় সকলকে শুভসকাল ও প্রণাম জানান। পরে হিন্দিতে বক্তব্য শুরু করেন মোদি।

মোদি বলেন, ‘এই শুভদিনে সকলকে প্রণাম। কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে এসে আমি গর্বিত। বিশ্বভারতীতে আমি অতিথি নই, আমি আচার্য হিসাবে এসেছি। গুরুদেবের বিশ্বভারতী আমার কাছে মন্দিরের মতো। এই আম্রকুঞ্জ বহু ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী। সব ছাত্রছাত্রীকে জানাই আমার শুভকামনা।

মোদি দাবি করেন, ‘রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভাবনার ফসল এই শান্তিনিকেতন। এক ছাতায় গোটা বিশ্বকে এনেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রকৃতি কীভাবে আমাদের শক্তি দিতে পারে তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ শান্তিনিকেতন। সারা বিশ্বকে আপন করে নিয়েছিলেন গুরুদেব। সারা পৃথিবীতে বন্দিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ পৃথিবীতে  বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিগুরুকে নিয়ে চর্চা হয়। আফগানিস্তানে রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালার গল্প সবাই জানে। রবীন্দ্রনাথই প্রথম বিশ্ব নাগরিক।

বক্তব্যে মোদি আরো বলেন, এক সমাবর্তনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এমন সমাবর্তন আর কোথায় হয়েছে? যে স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন গুরুদেব, তাকে এগিয়ে নিয়ে চলার কাজ আজও চলছে। সব শুভবুদ্ধি প্রকৃতির সান্নিধ্যেই বিকাশ ঘটে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার বিকাশ ঘটানো হবে। এই এলাকার উন্নয়ন ঘটানো হবে।

মোদি প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশ দুটি দেশ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে উপস্থিত আছেন। ভারত এবং বাংলাদেশ দুটি পৃথক দেশ, কিন্ত আমাদের স্বার্থ পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। সেটা সংস্কৃতি হোক বা জননীতি। আমরা একে অপরের থেকে প্রচুর শিখি। তারই একটা উদাহরণ বাংলাদেশ ভবন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ