শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মানুষের ভালোবাসা, আশ্রয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু : প্রধানমন্ত্রী

মানুষের ভালোবাসা, আশ্রয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু : প্রধানমন্ত্রী

17-05-18-PM_37th Sodesh Pottaborton-2বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ঐক্যবদ্ধ থেকে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মা-বাবা, ভাইবোন, পরিজনদের হারিয়ে বাংলার মানুষের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসাই তাকে চলার পথ দেখিয়েছিল। তাদের আশ্রয়েই আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।-খবর বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা মনে রাখতে হবে- সংগঠন যদি শক্তিশালী হয়, সংগঠনে যদি ঐক্য থাকে আর এই সংগঠন যদি জনগণের পাশে থেকে জনমত সৃষ্টি করতে পারে, তখনই যে কোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়, যা আমরা বারবার প্রমাণ করেছি। ১৯৭৫-এর বিয়োগান্তক অধ্যায়ের পর শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকতে বাধ্য হওয়ার পর আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচন করলে ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফিরে আসেন। প্রথমে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনিসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পর একে একে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুব লীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, তাঁতি লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং মহিলা শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশে ফেরা থেকে শুরু করে তার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিকূলতা তুলে ধরেন ও তার অবর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব খোঁজার জন্যও দলীয় নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী ৩৭ বছর আগের ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ এই দিনে তার স্বদেশে ফিরে আসার স্মৃতি স্মরণে বারবারই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই দিন প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই তাকে বরণ করে নেয়ার জন্য মানুষের যে ঢল দেখেছেন, মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছেন তা তাকে এখনও আপ্লুত করে। ছাত্ররাজনীতি করলেও আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনের দায়িত্ব নেয়াটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক কঠিন সময়ে তিনি দেশে ফেরেন। জাতির পিতার খুনিরা তখন পুরস্কৃত হয়ে বহাল তবিয়তে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স থাকায় পিতা হত্যার বিচার চাইতে পারছেন না, জিয়া তখন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রতিরাতে কারফিউ দিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। আর ভাঙার চেষ্টা চলছে আওয়ামী লীগকে। তিনি বলেন, যে ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টে চলে গেছে তা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া এবং দেশের গণতন্ত্রায়ন ও নিরন্ন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতির লক্ষ্য।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ