শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপখালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রায় ১৬ মে

খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে রায় ১৬ মে

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে ১৬ মে রায় ঘোষণা করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করা হয়। দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি শুরু করেন। বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাবেক বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মামলার বিষয় তুলে ধরেন। তারপর অ্যাটর্নি জেনারেল খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুরের আবেদন জানান।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, মামলার যে তথ্য অ্যাটর্নি জেনারেল উপস্থাপন করেছেন সেগুলো আমরাও করেছি। এখন অ্যাটর্নি জেনারেল এগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেছেন, এজন্য ওনাকে ধন্যবাদ। তারপর তিনি খালেদা জিয়ার কয়েকটি মামলার জামিন বিষয়ক রায় তুলে ধরেন। এসব শুনে আদালত বুধবার এ বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

আদালতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক ও বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আরো শুনানির আবেদন করেন। এই আবেদনের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা না করে দুপুর ১২টায় অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানি করতে বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান জানান, রায় ঘোষণার আগ মুহূর্তে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ মামলায় তার আরো কিছু সাবমিশন (শুনানি) বাকি রয়েছে, আদালতের কাছে আবেদন করেন। তিনি এ সাবমিশন রাখার জন্য একদিন সময় চান। তখন আদালত তাকে দুপুর ১২টায় এ সাবমিশন উপস্থাপন করতে বলেন।

এর আগে সবপক্ষের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ১৫ মে দিন নির্ধারণ করেন। দ্রুত আপিল নিষ্পত্তি এবং খালেদার জামিন বাতিল চেয়ে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখার আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।

৮ মে সকালে খালেদার জামিন প্রশ্নে প্রথমে শুনানি করেন দুদকের পক্ষে খুরশিদ আলম খান। পরে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও শুনানি করেন। এরপর খালেদার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী শুনানি শুরু করলেও অসমাপ্ত থেকে যায়। সেখান থেকেই ০৯ মে সকালে শুনানি শুরু করেন তিনি।

গত ০৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড হয়। একইসঙ্গে খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন। ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন। এরপর ১৪মার্চ আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে চার মাসের জামিন ১৮ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ আদেশ অনুসারে পরের দিন ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক লিভ টু আপিল দায়ের করেন।

এ লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি হয় ১৮ মার্চ। শুনানি শেষে আবেদনের ওপর আদেশের জন্য ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। পরে ১৯ মার্চ আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ