শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েচট্টগ্রাম বিভাগচাঁদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরে যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর এলাকায় স্বর্ণের চেইন বিক্রয়কে কেন্দ্র করে মাসুদ রানা (২৭) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে তিন যুবককে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। ২৮ মার্চ দুপুর ১২টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- উপজেলার শাহবাজকান্দি (রসুলপুর) গ্রামের শাহজাহান শিকদারের ছেলে সুফিয়ান আহম্মেদ ওরফে শিবির (২২), দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন (২৩) ও একই গ্রামের মোশারফ সরদারের ছেলে মো. শরীফ হোসেন (২০)। হত্যার শিকার মাসুদ রানা মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামের বেপারীবাড়ীর আব্দুল মান্নান ওরফে মুন বেপারীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি উল্লেখিত আসামিরা একটি স্বর্ণের চেইন মাসুদ রানার কসমেটিকস্ এর দোকানে বিক্রির উদ্দেশে জমা রেখে ২০০০ টাকা দাবি করে। তবে মাসুদ রানা চেইনটি স্বর্ণের কিনা তা যাচাই করে টাকা দিবে বলে তাদের ১৫০০ টাকা দেয়। ৫শ’ টাকা বাকী রাখে। পরে চেইনটি স্বর্ণের নয় সন্দেহ হলে তাদের কাছ থেকে ১৫শ’ টাকা ফেরত চায় মাসুদ। তারা টাকা দিবে বলে সময় ক্ষেপন করে।

এরপর ওই দিন রাত ৮টার দিকে মাসুদ রানা দোকান বন্ধ করে চলে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সে। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের এরশাদ বেপারীর পুকুর পাড়ে মাসুদ রানার মরদেহ দেখে লোকজন থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই মো. ফারুক বেপারী উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের মতলব উত্তর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) খন্দকার মো. ইব্রাহীম ২০০৯ সালের ৩০ মে আদালতে চার্জশীর্ট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি মো. সাইয়েদুল ইসলাম বাবু বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর মামলা চলমান অবস্থায় আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামিরা অপরাধ স্বীকার করায় তাদের উপস্থিতিতে ৩০২/৩৪ দণ্ডবিধিতে প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড এবং একইসঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপ) ছিলেন অ্যাডভোকেট দেবাশীষ করম মধু। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ইকবাল বিন-বাশার ও সেলিম আকবর। মামলার বাদী মো. ফারুক বেপারী বলেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আদালত তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমাদের পরিবার সন্ত‍ুষ্ট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ