সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআওয়ামী লীগের দখলে চট্টগ্রামের রাজপথ

আওয়ামী লীগের দখলে চট্টগ্রামের রাজপথ

বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে ঠেকাতে সকাল থেকে বন্দরনগরীর রাজপথে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। আওয়ামী লীগের নির্ধারিত স্পট ছাড়াও পুরো নগরীর বিভিন্ন স্থানে আছেন দলটির নেতাকর্মীরা।  লাঠি হাতে মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্পটে টহল দিচ্ছে যুবলীগ-ছাত্রলীগ।  লাঠি হাতে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় ০৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জজ আদালতে রায় ঘোষণা হবে।

চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, রায় নিয়ে বিএনপি নেতারা যেসব বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে রায় বিরুদ্ধে গেলে তাদের বড় ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা আছে।  আওয়ামী লীগ একটি দায়িত্বশীল দল হিসেবে জনগণকে এতবড় বিপদের মুখে ঠেলে দিতে পারে না।  জনগণের পাশে থাকার জন্য আমরা সকাল থেকে রাজপথে আছি।

নগরীর ২০টি স্পটে আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগের ওয়ার্ডভিত্তিক নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।  এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলো হচ্ছে এ কে খান মোড়, ইপিজেড মোড়, কাটগড়, বিমান চত্বর, বাদামতলী, দেওয়ানহাট, ওয়াসা, জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট মোড়, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতুর নগরপ্রান্ত, চকবাজার এবং দলীয় কার্যালয় দারুল ফজল মার্কেটের চত্বর।

সকাল ১০টা থেকে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও মেয়র দামপাড়া মোড়ে অবস্থান নেন।  প্রায় এক ঘণ্টা পর তারা দেওয়ানহাটের দিকে যান।  বিভিন্ন স্পটে গিয়ে জমায়েত হওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেবেন নগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।  এরপর দুপুরে দারুল ফজল মার্কেটে নগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ হবে। এসএসসি পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে কোন সভা-সমাবেশ-মিছিলে মাইক না বাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আমাদের ২০টি স্পটের বাইরেও নেতাকর্মীরা আছেন।  অনেকে নিজের বাড়ির সামনে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।  ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের পক্ষ থেকেও আলাদাভাবে মিছিল হচ্ছে। মেয়র জানান, ওয়ার্ড ও থানাভিত্তিক নেতাদের অনুরোধে নির্ধারিত স্পটের বাইরে আরও ৮-১০টি স্থানে জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নগর যুবলীগ সকাল থেকে সাতটি স্পটে জমায়েত হয়ে মিছিল-সমাবেশ করছে।  সকাল ১১টার দিকে টাইগার পাস এলাকায় লাঠি হাতে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মিছিল করতে দেখা গেছে। নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগের ২০টি স্পটের বাইরে আমরাও সাতটি স্পটে আছি।  তবে আমাদের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের জমায়েতেও থাকবেন।

এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে নগরীর মুরাদপুর, কর্ণেলহাট বাজার, রেলস্টেশন এবং একে খান মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।  মুরাদপুর এলাকায় তরুণ-যুবকদের মোটর সাইকেল নিয়ে টহল দিতে দেখা গেছে। নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি বলেন, আওয়ামী লীগের ঘোষিত স্পটেও আমাদের নেতাকর্মীরা আছেন।  তবে ‍চারটি স্পটে আমাদের বড় জমায়েত আছে।  যে কোন ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ছাত্রলীগ প্রস্তুত আছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ