শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো না : প্রধানমন্ত্রী

সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবো না : প্রধানমন্ত্রী

একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি আবারো নাকচ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো না। ৩১ জানুয়ারি বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান। সংবিধান অনুযায়ী সহায়ক সরকার বলে কোনো সরকার গঠন করার বিধান নেই। আমাদের সরকার গণতন্ত্রকে সব সময় সমুন্নত রাখবে, সেজন্য সংবিধান পরিপন্থি কোনো সরকার আমরা গ্রহণ করবো না।

তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে মার্শাল ল’ জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করার মাধ্যমে অবৈধ পথে। তাই অবৈধ দাবি করা তাদের অভ্যাস। জিয়াউর রহমানের আমলে ভোটারবিহীন গণভোট (হ্যাঁ/না ভোট) করেছিল বিএনপি এবং সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে কোনো নিয়মনীতি অনুসরণ না করে তৎকালীন বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে সরিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে সরকার গঠন করেন। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পরবর্তীতে তার ওই কর্মকাণ্ড অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করার পর মাগুরা ও ঢাকার উপ-নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি করেছিল এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে অবৈধ সরকার গঠন করে বিএনপি। পরে গণআন্দোলনের সম্মুখীন হয়ে দেড় মাসের মধ্যে তাদের পতন ঘটে। ওই সময় বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ২০০৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্পষ্ট রূপরেখা থাকা সত্ত্বেও তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার চেষ্টা করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করার উদ্দেশ্য থাকায় দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় এবং একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুই বছর ক্ষমতায় থাকে। এসব ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বিএনপি কোন দিনই গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার পক্ষে ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছিলাম। তার মানে সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে এবং সরকারের পরিসর ছোট করা হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে শুধু রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে না।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ