কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘যেকোনো সময়’ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের মন্তব্য স্পষ্টতই দেশটির আগের অবস্থান থেকে সরে আসার প্রতিফলন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই বলে আসছে, আলোচনায় বসতে হলে উত্তর কোরিয়াকে আগে অবশ্যই পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করতে হবে।
রেক্স টিলারসন এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা যদি চান, তাহলে শুধু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্যই চলুন দেখা করি।’ এর আগে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে সরকারের নীতিনির্ধারণী এক ফোরামে আলোচনা করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণা এমন একটি পর্যায়ে এলো, যার কিছুদিন আগেই জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক প্রধান জেফরি ফ্যাল্টম্যান উত্তর কোরিয়ায় এক বিরল সফর করেন। সফর শেষে জেফরি জানান, উত্তর কোরিয়াও যুদ্ধ এড়িয়ে চলার পক্ষে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বারবার শক্তিশালী পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। উত্তর কোরিয়া যেসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে, তা মার্কিন যুক্তরোষ্ট্রেও আঘাত হানতে সক্ষম বলে সামরিক বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বরের শেষে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য নতুন করে একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার আল্টান্টিক কাউন্সিল পলিসি ফোরামে আলোচনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উল্লেখ করেন, ‘আলোচনা যেকোনো ফর্মেই হতে পারে। উত্তর কোরিয়া রাজি হলে তার পরই আমরা কী কী বিষয় নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই, তা নিয়ে রোডম্যাপ হতে পারে। তবে টিলারসন আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন, উত্তর কোরিয়ার ‘প্রথম বোমাটি পড়ার আগমুহূর্ত’ পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক অবরোধ চলবে।