শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিদেশে কর্মী প্রেরণে এবছর রেকর্ড গড়েছে দেশ

বিদেশে কর্মী প্রেরণে এবছর রেকর্ড গড়েছে দেশ

বিদেশে কর্মী প্রেরণের দিক থেকে এ বছর রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। এ বছর সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে বিদেশে। সংখ্যার হিসেবে যা প্রায় ১০ লাখ। সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি। ওই বিশালসংখ্যক কর্মীর অধিকাংশই গেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এমন তথ্য দিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি।

২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার। বছর শেষে যা নিশ্চিতভাবেই ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে সরকারি মাধ্যমগুলো জানায়। এই ১০ লাখ কর্মীর অর্ধেকের বেশি গেছেন সৌদি আরবে। তারপরের তালিকায় রয়েছে জর্ডান, ওমান, কাতার ও কুয়েত।

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতে আমাদের কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘যোগাযোগটা আগের চেয়ে অনেক বেশি তীক্ষ্ণ করেছি আমরা, শাণিত  করেছি। মধ্যপ্রাচ্য যেহেতু মুসলমানের দেশ; তাঁদেরকে বলেছি, ভাই আমার লোক তো সন্ধ্যার সময় নামাজ পড়তে যাবে। অন্য জায়গা থেকে লোক আনলে তো মন্দিরে যাবে, উলু দেবে। আমারটা তো তোমার জন্য দোয়া করবে। এগুলা বললে তাঁরা কনভিনসড হয়।’

তবে নারী কর্মীদের সংখ্যাও উল্লেখ করার মতো। যার সংখ্যা মোট পাঠানো কর্মীদের মধ্যে প্রায় ১২ শতাংশ। এবং এই নারীদেরও অধিকাংশই গেছেন সৌদি আরবে ।এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘সৌদি আরবে নারী কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার ৪১০ জন। জর্ডানে ১৯ হাজার ১২ জন এবং ওমানে আট হাজার ৬৮৬ জন।’

তবে এত সংখ্যক কর্মী পাঠানোর পরেও আরো কম খরচে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া দক্ষতার দিক থেকে বাংলাদেশি কর্মীরা অনেক পিছিয়ে আছে। তাই আরো দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠালে বিদেশে আমাদের কর্মীদের চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ ছাড়া বিদেশে কর্মী নিয়োগে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে ‘বিদেশি কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩’-এর কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ