শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়রিজার্ভ চুুরিতে গাফিলতি আড়ালের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকজন

রিজার্ভ চুুরিতে গাফিলতি আড়ালের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোকজন

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রিজার্ভ চুরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরসিবিসি’কে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলতে চান বলে জানানোর পর ফিলিপাইনের ব্যাংকটি অভিযোগ করেছে ঢাকার আর্থিক কর্তৃপক্ষ তাদের গাফিলতি আড়ালের চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার আরসিবিসির আইন বিষয়ক প্রধান জর্জ দেলা কুয়েস্তা এক বিবৃতিতে বলেন, ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সিনেটের কাছে আইনি সব বিষয় তুলে ধরেছে আরসিবিসি। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের অনেক কিছুই চেপে গেছে। তিনি বলেছেন, এই চুরির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরের লোকজনই জড়িত রয়েছে। তার দাবি, রিজার্ভ চুরিতে দুর্বলতা ঢাকতে রিজেল কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর দোষ চাপাচ্ছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এই চুরির সঙ্গে যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব লোকই জড়িত সেহেতু আমরা কেন সেই টাকা পরিশোধ করবো? তার ব্যাংক আরসিবিসিকে ‘বলির পাঠা’ না বানাতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

এদিকে শুরু থেকেই আরসিবিসি স্বীকার করেছে তাদের কিছু অসৎ কর্মী এতে জড়িত। ফিলিপাইনের আইনজীবীরা এর মধ্যে সাবেক আরসিবিসি ব্যাংক ম্যানেজার ও ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে মামলা করেছে। কিন্তু যাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি তারা অ্যাকাউন্টগুলো ভুয়া নামে ছিল। তারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত বিশ্বের যেকোনো জায়গার হতে পারে।

এর আগে সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ চেয়ে ফিলিপাইনের আরসিবিসির বিরূদ্ধে যৌথ মামলা দায়ের করতে নিউইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংককে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য লুকিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে আরসিবিসি। ওইসময় নিউইয়র্ক ফেডারেল ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেয় অজ্ঞাত হ্যাকাররা। সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমে ভুয়া নির্দেশ ব্যবহার করে তারা এই অর্থ চুরি করে। এই অর্থ ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পর ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে যায়। প্রায় দুই বছর পরও দায়ীদের চিহ্নিত করা যায়নি। ম্যানিলার এক ক্যাসিনো অপারেটরের কাছ থেকে বাংলাদেশ মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার উদ্ধার করেছে।

এছাড়া, বাংলাদেশের টাকা চুরি হলেও এর পেছনে কোনো বাংলাদেশির জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন কোয়েস্টা। এ ধরনের ঘটনা পুনরায় ঘটার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে এর পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করারও পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ