শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপআমাদের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই যে, রাতারাতি পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে

আমাদের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই যে, রাতারাতি পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে

দেশের নদী দখলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমাদের হাতে আলাদিনের চেরাগ নেই যে, রাতারাতি পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে বলে এ মন্তব্য করেছেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান। ঢাকার চারপাশের চার নদীসহ সারাদেশের নদী রক্ষার্থে গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি। ২২ নভেম্বর সকাল ১০টায় সচিবালয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়। এরপর মন্ত্রিসভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের অবহিত করেন নৌমন্ত্রী।

শাজাহান খান বলেন, সারাদেশের নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে জরিপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এরপর সব নদীর পাড়ে পিলার স্থাপন করা হবে। তবে এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। পর্যায়ক্রমে এ কাজ অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে জনগণকেও নদী দখল ও দূষণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত করতে এরইমধ্যে ৯ হাজার ৪৭৭টি পিলার স্থাপন করা হয়েছে। অনেক পিলারই দখলকারীরা উচ্ছেদ করে ফেলেছে। এসব পিলার উচ্ছেদকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্ধেক পিলারের বিরুদ্ধেই আপত্তি এসেছে এবং আপত্তির ২০ ভাগই নিষ্পত্তি হয়েছে। তবে অবৈধ দখল উচ্ছেদের পরও উদ্ধার করা জমি দখলে রাখা যায় না। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের লোকবলের অভাব রয়েছে। আমরা তাদের নিয়মিত মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দিয়েছি। ঢাকার পাশের নদীগুলো উদ্ধার করে ২৮০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে তৈরি করা হবে।

তিনি জানান, রামচন্দ্রপুর ও কল্যাণপুর ‘ক’ খাল উদ্ধার করা হয়েছে। আরো ১৩টি খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোও উদ্ধার করা হবে। আদি বুড়িগঙ্গা নদীও উদ্ধারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই নদীর মধ্যে অনেক বড়বড় স্থাপনা রয়েছে। কয়েকটি মামলাও রয়েছে। তবে উদ্ধার অভিযান চলবে। মন্ত্রী বলেন, অনেক নদীর মধ্যে মসজিদ, মন্দির ও মাদ্রাসা রয়েছে। আমরা এইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের সঙ্গে বসেছি। তারা বিকল্প জমি পেলে চলে যেতে চেয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছি।

সাভারের চামড়া শিল্পনগরী ধলেশ্বরী নদী দূষণ করছে বলে প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় নদী কমিশন ও সংশ্লিষ্ট টাস্কফোর্স। আমরা বিষয়টি শিল্পমন্ত্রণালয়কে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি। একইসঙ্গে নদী পাড়ের শিল্প কারখানার তালিকা করে দূষণকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, নদীর পাড়ের বেশিরভাগ শিল্পকারখানাতেই ইটিপি আছে। কিন্তু তারা চালান না। কেবল মাত্র পরিবেশের লোক গেলেই তারা ইটিপি চালান। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের প্লাবন ভূমি রক্ষার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বৈঠকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ