শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনসানম্যান গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

সানম্যান গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভ

অবৈধভাবে ২৯৪ জন শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে সানম্যান গ্রুপের মালিকানাধীন দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালী এলাকায় সানম্যান গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। পরে মালিক পক্ষকে স্মরকলিপি দেয় শ্রমিকরা।  ৩০ নভেম্বর পাওনা পরিশোধের আশ্বাস পেলে শ্রমিকরা চলে যায়।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরীর কালুরঘাট শিল্প এলাকায় সানম্যান গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন হাইটস’র ৬০ জন এবং আলফা টেক্সটাইলের ২৩৪ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করে। ৬ নভেম্বর তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু তার কয়েকদিন আগেই পুনরায় ২২ নভেম্বর টাকা পরিশোধ করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এদিন শ্রমিকরা উপস্থিত হলে তাদের প্রবেশে বাধা দিলে বিক্ষোভ শুরু হয়।

ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের চট্টগ্রাম জেলার সংগঠক ফজলুল করিব বলেন, শ্রম আইন না মেনে দুটি কারখানা থেকে ২৯৪ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে ছাঁটাই করে। তাদের মধ্যে ৩২ বছর চাকরি করেছেন এমন অনেকেই আছেন। এছাড়া শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে বিভিন্নভাবে সময়ক্ষেপন করছে। তাই বুধবার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।

সুমন নামে একজন অপারেটর জানান, কোন কারণ ছাড়াই দুটি কারখানা থেকে ২৯৪ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। শ্রম আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী ছাঁটাই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হলেও ২০ ধারা মানা হয়নি। তিনি বলেন, শ্রম আইনের ২০ ধারা অনুযায়ী যাদের চাকরির বয়স কম তাদের ছাঁটাই করতে হবে। এক বছরের মধ্যে নিয়োগ দিলে তাদেরকেই দিতে হবে। কিন্তু কোম্পানী তা না মেনে ২০ থেকে ৩২ বছর চাকরি করেছেন এমন শ্রমিকদের ছাঁটাই করেছেন। অন্যদিকে নতুনভাবে নিয়োগ দিচ্ছেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ অক্টোবর আলফা টেক্সটাইলের ২৩৪ জন এবং ২৩ অক্টোবর গোল্ডেন হাইটস’র ৬০ জন শ্রমিককে বিনা কারণে ছাঁটাই করে। ৬ নভেম্বর তাদের পাওয়া বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু পরে সেটি পরিবর্তন করে বুধবার (২২ নভেম্বর) বেতন ভাতা দেওয়ার নোটিশ জারি করে। এদিন বেতন-ভাতা না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করলে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সবার পাওয়া পরিশোধের আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। সালে কাজে যোগ দেওয়া শিল্পী বড়ুয়া প্রোডাক্টশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে যোগ দিয়ে সিনিয়র অপারেটর হিসেবে কর্মরত নেলী বড়ুয়া। ১৯৮৪ সালে যোগ দিয়েছিলেন দিনবন্ধু। তাদের সবাইকে ছাঁটাই করা হয়েছে।

নেলী বড়ুয়া বলেন, কারখানার উন্নয়মে আমাদের শ্রম আছে। আমাদের কষ্টে কোম্পানি বড় হয়েছে। আর এখন একটি মিনিটেই আমাদের চাকরি নেই। আমাদের পাওনাও বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এটা অন্যায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ