সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিন২০৪০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে কোনো পানির সংকট হবে না

২০৪০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে কোনো পানির সংকট হবে না

 ২০৪০ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে কোনো পানির সংকট হবে না জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেছেন, ‘তবে এজন্য আরও প্রকল্প হাতে নিতে হবে। কর্ণফুলী নদীকে রক্ষা করতে হবে। ১২ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ওয়াসা সেবা মাস পালন করছে। এ উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি। এতে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওয়াসার বোর্ড সদস্য বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, আবিদা আজাদ, সোলায়মান আলম শেঠ, জাফর আহমেদ সাদেক, ওয়াসার ‍উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) গোলাম হোসেন, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য খোকন, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রকৌশল) রতন কুমার সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও সেবা মাসে কি কি সেবা দেওয়া হবে তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা বর্তমানে দৈনিক ৩০ কোটি লিটার সুপেয় ও নিরাপদ পানি নগরীতে সরবরাহ করছে। এর মধ্যে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার থেকে ১৪ কোটি লিটার, মোহরা পানি শোধনাগার থেকে ৯ কোটি এবং বাকি ৭ কোটি লিটার গভীর নলকূপ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ তার বক্তব্যে বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ ২২ বছর পানি প্রকল্প হাতে না নিতে পারা এবং প্রকল্প হাতে নিলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতার কথা তুলে ধরেন। ওয়াসার এমডি বলেন, ‘২৯ বছর চট্টগ্রাম নগরীতে জনসাধারণ নিরাপদ ‍সুপেয় পানির সংকটে ভুগেছে। জনগণকে কখনও রাত জেগে কখনও লাইন ধরে প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করতে হয়েছে। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প চালু হওয়ায় এই সংকট দূর হয়েছে। পাশাপাশি পানি সংকট নিরসনে বর্তমানে চিটাগং ওয়াটার সাপ্লাই ইম্প্রুভমেন্ট অ্যান্ড স্যানিটেশন প্রকল্প, কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প ও ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘২০৪০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরে পানির সংকট থাকবে না, তবে আরও প্রকল্প নিতে হবে। আর আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ওয়ার্নিং হলো চট্টগ্রামে মাত্র একটি নদী। সেটি হলো কর্ণফুলী নদী। এটিকে রক্ষা করতে হবে। দূষণের হাত থেকে এটিকে বাঁচাতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ