শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ৮৮ শতাংশ বাস্তবায়িত

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ৮৮ শতাংশ বাস্তবায়িত

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

২০১০ থেকে ১৫ সাল মেয়াদী ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মোট ৮৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে সরকার। দেশের ইতিহাসে এ হার সর্বোচ্চ হলেও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সুশাসনের অভাব ও নির্বাচনকেন্দ্রীক রাজনৈতিক অস্থিরতার বাধা পেরোতে না পারলে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য রয়েছে তা অর্জন কষ্টসাধ্য হবে। আরিফুর রহমানের রিপোর্ট।

বিনিয়োগ কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক মোট ২০টি লক্ষ্য নিয়ে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল মেয়াদী ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার। আড়াই বছরের মাথায় এসে এ পরিকল্পনার মধ্যমেয়াদী মূল্যায়ন করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, এবার প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে ৮৮ শতাংশ। অতীতে ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি অর্জনের রেকর্ড আছে। তাই এই প্রবৃদ্ধি যথেষ্ঠ সন্তোষজনক।

মূল্যায়ন বলছে, অর্জনের দিক দিয়ে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা পেছনে ফেলেছে এ যাবৎ নেয়া সবগুলো পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনাকে। যদিও এ অর্জনে সন্তুষ্ট নন অর্থনীতিবিদরা।

সিডিপির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে যে স্বাভাবিক গতিময়তা বজায়ে রেখেছে, সেটিকে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক বলতে হবে। কিন্তু ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় যে লক্ষ্য রাখা হয়েছে তার প্রেক্ষাপটে এই অর্জন মোটেও সন্তোষজনক নয়।

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী, দারিদ্র বিমোচন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়ানোর মতো কিছু সামাজিক লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে সরকার। তবে ব্যর্থ হয়েছে, অর্থনীতির মূল চালিকা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও প্রবৃদ্ধির মতো লক্ষ্য অর্জনে।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ