রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ২ নভেম্বর দুপুরে হোটেল রেডিশন ব্লুতে সিপিএ’র ৩৬তম স্মল ব্রাঞ্চেস কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশে স্মল ব্রাঞ্চেস দেশগুলোর সাথে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সিপিএ। স্মল ব্রাঞ্চেস দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বৃহত্তর স্বার্থে সিপিএ কাজ করবে। সিপিএ স্মল ব্রাঞ্চেসের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারপারসন ও মাল্টা সংসদের স্পিকার অ্যাঞ্জেলো ফারুগিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিন বছর সিপিএ’র দায়িত্ব পালনকালে তিনি সংস্থার উন্নয়নে সব সময় কাজ করেছেন।
স্পিকার বলেন, তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে আগ্রহী করে তুলতে ও সংসদীয় রীতি-নীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সিপিএ বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য বিভিন্ন সময় ইয়ুথদের নিয়ে রোড শো করা হয়। তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিতে এলে আইন প্রণয়ন ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। জেন্ডার সমতা ও সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণেও সিপিএ ভূমিকা রাখছে।
জলবায়ু পরিবর্তন জীবনযাত্রাকে পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতির হুমকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্যারিস চুক্তির আলোকে জলবায়ুর অভিঘাত ও ক্ষতি মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শিরীন শারমিন বলেন, এই কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মল ব্রাঞ্চের দেশগুলোর একত্র হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সম্ভব হবে– যা পরবর্তীতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে পার্লামেন্টের ভূমিকা রয়েছে। জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতার পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করতে সিপিএ’র পার্লামেন্টগুলো কাজ করছে। সিপিএ স্মল ব্রাঞ্চ চেয়ারপারসন ও মাল্টা সংসদের স্পিকার অ্যাঞ্জেলো ফারুগিয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সিপিএ সেক্রেটারি জেনারেল আকবর খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
