বৃহস্পতিবার, মে ২৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআন্তর্জাতিক গ্রিন সার্টিফিকেট পেল পিএইচপি শিপইয়ার্ড

আন্তর্জাতিক গ্রিন সার্টিফিকেট পেল পিএইচপি শিপইয়ার্ড

দেশে প্রথমবারের মতো ‘আর্ন্তজাতিক গ্রিন সার্টিফিকেট’ লাভের গৌরব অর্জন করেছে দেশের অন্যতম শিল্পপ্রতিষ্ঠান পিএইচপি ফ্যামিলির মালিকানাধীন শিপইয়ার্ড। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে অবস্থিত পিএইচপি রিসাইক্লিং ইয়ার্ডে ‘নিরাপদ ও  ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশে’ জাহাজ কাটার জন্য এই সার্টিফিকেট দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি (রিনা)।হংকং কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সুরক্ষামূলক শিপইয়ার্ড এটি। ১০ অক্টোবর লন্ডন থেকে প্রকাশিত দি মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ ও ট্রেড উইন্ডস নামে দু’টি সংবাদমাধ্যম ও সাময়িকীতে এই গ্রিন সার্টিফিকেট দেওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক গ্রিন সার্টিফিকেট দেয় ভারত, জাপান ও ইটালির তিনটি প্রতিষ্ঠান। রিনা নামে ইটালিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান পিএইচপিকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কিট্যাক লিম চলতি বছরের শুরুতেই শিপইয়ার্ডটি পরিদর্শন করেন।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, এটি দেশের অন্যান্য ইয়ার্ডের জন্য রোলমডেল হতে পারে। পরে তার এই মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে দ্যা মেরিটাইম এক্সিকিউটিভ সাময়িকীতে। ট্রেড উইন্ডস-এ প্রকাশিত সংবাদপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিপব্রেকিং ইয়ার্ডটি হল প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতীয় কোনো ইয়ার্ডের চেয়েও উন্নত ও অগ্রসর।

এ প্রসঙ্গে পিএইচপি রিসাইক্লিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, প্রায় ৩৫ কোটি টাকা খরচ করে শিপইয়ার্ডটি হংকং কনভেনশনের সব বিষয় নিশ্চিত করে প্রস্তুত করা হয়েছিল। এরপর এটি পরিদর্শনের জন্য বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানালে তারা শুরুতেই বাংলাদেশে এরকম আধুনিক শিপইয়ার্ডের বিষয়টিকে গুরুত্বই দিতে চায়নি। শিপইয়ার্ড পরিদর্শনে এসে ও অডিট করে শেষ পর্যন্ত তারা আমাদের গ্রিন ইয়ার্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

১৯৮০ সালের দিকে চট্টগ্রামের উপকূলে শিপইয়ার্ডের ব্যবসা শুরু হয়ে বর্তমানে এখানে চালু ইয়ার্ডের সংখ্যা ১০০টি। বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার উপরে এই খাতে লেনদেন হয়। বিদেশ থেকে পুরনো জাহাজ এনে কেটে তৈরি করা হয় লোহার রড ও পাত। এছাড়া পুরনো জাহাজে পাওয়া যায় আসবাবপত্র, ক্রোকারিজ, বৈদ্যুতিক সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ