শনিবার, মে ১১, ২০২৪
প্রচ্ছদটপনওগাঁতে দুই নারীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে

নওগাঁতে দুই নারীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে

নওগাঁর ধামইরহাটে দুই নারীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ‘মিথ্যা মামলায়’ ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে তিন নারীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁরা হলেন বিথী রানী, নীলিমা ও শান্তি রানী। পরে এঁদের দুজনকে মাদকের মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়ে অন্যজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তিন নারীই সনাতন ধর্মাববলম্বী। তিন নারীকে আটকের পর তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ ৫৩ হাজার টাকা ঘুষও নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিথী রানীর স্বামী উত্তর কুমার জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী বিথী রানী ও প্রতিবেশী অঞ্জয়ের স্ত্রী নীলিমা বাড়ির সামনে গল্প করছিলেন। বিকেল ৫টার দিকে ধামইরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছানোয়ার ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁদের আটক করেন। একই সময়ে আরেক প্রতিবেশী মৃত ভিরকা পালের বিধবা স্ত্রী শান্তি রানীকেও আটক করেন। এই তিন নারীকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন উত্তম কুমার। তবে টাকা দিলে ছেড়ে দেওয়ার কথাও জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নীলিমার কাছ থেকে ২৩ হাজার, বিথী রানীর কাছ থেকে ২০ হাজার এবং শান্তি রানীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকাও নেয় পুলিশ। বিথী রানীর ছোট ছেলে শ্রাবণ কুমার নিজে মুনশির মাধ্যমে পরিদর্শক (তদন্ত) ছানোয়ার ইসলামকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন বলেও উত্তম কুমার দাবি করেন।

উত্তম আরো অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক এক নেতার সুপারিশে পরদিন নীলিমাকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বিথী রানীকে ৩৪ ধারায় চালানের কথা বলে আরো ২০ হাজার টাকা নেয়। পরে মাদকের মামলায় চালান দেয় থানার পুলিশ। দুজনকে মাদকের মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর কথা বিষয় স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম। আর পরিদর্শক ছানোয়ার ইসলামের দাবি, যে দুই নারীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে এঁরা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা করছেন। সুযোগ পেয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনিও।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ