সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছে। জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার বৈশ্বিক শ্রম বাজার সম্পর্কিত উদ্যোগ ‘গ্লোবাল ডিল’র এক বৈঠকে একথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মনে করে, যদি সার্বিকভাবে আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়, তবে শ্রমবাজার ও শ্রমিকদের অধিকার আদায় বাড়বে।

কর্মক্ষম জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) গঠনসহ নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

তিনি জানান, দক্ষতা উন্নয়নে সরকারের ২২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নেওয়া চলমান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে এনএসডিএ।

শেখ হাসিনা বলেন, তৈরি পোশাক খাতের শ্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় চিহ্নিতকরণে শ্রমিক-কর্মচারী ও শ্রমিক নেতা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় পর্যালোচনা পর্ষদ (টিসিসি) গঠন করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে বিশ্বায়ন থেকে সবার সমান সুযোগ নিশ্চিতে ২০১৬ সালে কার্যক্রম শুরু করে ‘গ্লোবাল ডিল’। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়নে শিল্পোন্নত ২০ দেশের সহযোগিতামূলক জোট ওইসিডির সহযোগিতায় যৌথ এই কার্যক্রমের উদ্যোগ নেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লাফিয়ান।

কার্যক্রম শুরুর এক বছর পর ফলোআপ বৈঠকের আলোচনায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী লাফিয়ান, উরুগুয়ের প্রধানমন্ত্রী তাবারেজ ভাসকুয়েজ, জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা মোহাম্মেদ এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের নেওয়া উন্নয়নবান্ধব বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে তার সরকারের নয় বছরে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনের সরকার শ্রমিকপন্থী পরিবর্তন এনেছে। যার ফলে এ বাজারে কাজের ভালো পরিবেশ তৈরি হয়েছে। গত ৫ বছরে পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন ৩ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।এতে করে শ্রমিকরা এখন আগের চেয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারছে। তাদের উপার্জনেও স্থিতিশীলতা এসেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ