রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসাত খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের রায় কাল

সাত খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের রায় কাল

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনা করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়মিত ও জেল আপিল এবং ডেথ রেফারেন্সের ওপর হাইকোর্টের রায় আগামীকাল মঙ্গলবার ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তারিখ পরিবর্তন করে ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন। গত ২৬ জুলাই শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন আদালত। আপিলে আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও  আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

২২ মে সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়। সাত খুন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেন, তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন, মাসুদ রানা, এমদাদুল হক (হাবিলদার), বেলাল হোসেন, আবু তৈয়ব, শিহাব উদ্দিন, এসআই সুনেন্দু বালা, পুর্ণেন্দু বালা, আসাদুজ্জামান নূর, মূর্তজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান বিপু, আবুল বাশার, রহম আলীসহ ২০ আসামি হাইকোর্টে নিয়মিত আপিল ও জেল আপিল দায়ের করেছেন।

চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র‍্যাবের বরখাস্তকৃত তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় দেন। এ মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেন বিচারিক আদালত। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এ মামলার পেপারবুক প্রস্তুতে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে মামলার পেপারবুক হাইকোর্টে এসেছে। পেপারবুকটি প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠার।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ