শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়৬৪ ব্যক্তি-সংগঠনকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকে ভূষিত

৬৪ ব্যক্তি-সংগঠনকে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদকে ভূষিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ১৪২১ ও ১৪২২ সালে কৃষি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হিসেবে ৫৫ ব্যক্তি ও নয়টি সংগঠনকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকে ভূষিত করেছেন। রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজয়ীদের মধ্যে এসব পদক দেওয়া হয়। কৃষি উন্নয়ন ও গবেষণায় প্রতি বছর বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে ১০টি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি স্বর্ণ, নয়টি রৌপ্য ও ১৮টি ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়। স্বর্ণ পদক বিজয়ী প্রত্যেকে ১৮ ক্যারেটের ২৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণ পদক ও এক লাখ টাকা, রৌপ্য পদক বিজয়ী প্রত্যেকে ২৫ গ্রাম ওজনের একটি রৌপ্য পদক ও ৫০ হাজার টাকা এবং ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী প্রত্যেকে একটি ব্রোঞ্জ পদক ও ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। কৃষি গবেষণা এবং সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি আবিষ্কার, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, পশু পালন, পোলট্রি ও মৎস্য খামারে বিশেষ অবদানের জন্য এ পদক দেওয়া হয়।

১৪২১ সনের জন্য পদক পেয়েছেন স্বর্ণ পদক বিজয়ী ১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি, ঢাকা, ২. কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ৩. পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মো. আব্দুল খালেক, ৪. নীলফামারীর ডোমার উপজেলার অন্যপূর্ণ এগ্রো সার্ভিস এবং ৫. পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মোছা. বেলী বেগম।
রৌপ্য পদক বিজয়ীরা হলেন- ১. রাজবাড়ী সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন, ২. নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গাউসুল আজম বাবা ভান্ডারী বহুমুখী খামার লিমিটেড, ৩. কুমিল্লার হোমনা উপজেলার মো. লাল মিয়া, ৪. ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মো. আজিম উদ্দিন, ৫. টাঙ্গাইল সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি, ৬. রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বেগম আদুরী মার্দি, ৭. পাবনার ঈশ্বরদীর মো. আব্দুল বারী, ৮. কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মো. আবুল কাশেম এবং ৯.  খাগড়াছড়ি সদরের সুজন চাকমা।

ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ীরা হলেন ১. রাজশাহীর তানোর উপজেলার নূর  মোহাম্মদ, ২. সিলেট মহানগরীর আবদুল হাই আজাদ বাবলা, ৩. খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সুরেশ্বর মল্লিক, ৪. যশোর সদরের মো. আব্দুল ওয়াহিদ সরদার, ৫. কুমিল্লার দাউদকান্দির এম এ মতিন, ৬. মেহেরপুর সদরের মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস, ৭. নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রিয়াজুল ইসলাম সরকার, ৮. ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মো. রফিকুল ইসলাম, ৯. পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মো. আবু বকর সিদ্দিক, ১০. ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের গোলাম মোস্তফা, ১১. পাবনার ঈশ্বরদীর মাহফুজা খানম শীমা, ১২. খুলনার বটিয়াঘাটার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরদার আবদুল মান্নান, ১৩. গাইবান্ধার সাঘাটার মো. আমির হোসেন, ১৪. নওগাঁ সদরের মো. সালাহ উদ্দিন উজ্জল, ১৫. জয়পুরহাট সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম সাজু, ১৬. জামালপুর সদরের মো. ইজাদুর রহমান, ১৭. খুলনার ডুমুরিয়ার অশোক বৈরাগী এবং ১৮. কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার মো. শাহীনুর রহমান।

১৪২২ সনের জন্য পদকপ্রাপ্তরা হলেন- স্বর্ণ পদক বিজয়ী ১. গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্ল্যান্ট ব্রিডিং ডিভিশন, ২. গাজীপুরের সালনায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ৩. সিলেট মহানগরের মো. আবদুল বাছিত সেলিম, ৪. শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশিদ ভূইয়া, ৫. রংপুর সদরের নাজমুন নাহার।

রৌপ্য পদক বিজয়ীরা হলেন- ১. ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, ২. ঝিনাইদহ সদরের বেগম ফারজানা বিবি বিশ্বাস, ৩. নাটোর সদরের আলহাজ মো. আলফাজুল আলম, ৪. যশোরের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, ৫. চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার জাকির অ্যান্ড ব্রাদার্স, ৬. নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. মাসুদুল হক চৌধুরী, ৭. চট্টগ্রামের রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, ৮. চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক হর্টি কালচার রিসার্চ সেন্টারের কৃষিবিদ ড. মো. সরাফ উদ্দিন এবং ৯. নরসিংদীর শিবপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক হর্টি কালচার রিসার্চ সেন্টারের ড. মো. নজরুল ইসলাম।

ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী হলেন- ১. কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জুলফিকার আলী, ২. দিনাজপুরের পার্বতীপুরের গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র, ৩. সাতক্ষীরার কলারোয়ার মো. ইউনুস আলী, ৪. কিশোরগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অফিসের স্টোর কিপার সৈয়দ নুরুল আউয়াল তারা মিয়া, ৫. কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জালাল আহমেদ, ৬. ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মো. হেলাল উদ্দিন, ৭. ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কার্ড মহিলা সমিতি, ৮. সাতক্ষীরা সদরের বেগম শাহানা সুলতানা, ৯. সিলেটের বিশ্বনাথের মোছা. রুবা খানম, ১০. গাজীপুরের শ্রীপুরের মো. দেলোয়ার হোসেন, ১১. পাবনার ঈশ্বরদীর এস এম রবিউল ইসলাম, ১২. সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বেগম ইলিজা খান, ১৩. রংপুরের কেরানীপাড়ার কৃষি তথ্য সেবার আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসের মো. আবু সায়েম, ১৪. ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির, ১৫. ঢাকার নবাবগঞ্জের বেগম মায়া রানী বাউল, ১৬. বান্দরবান জেলা সদরের তারাঙ্গা, ১৭. চট্টগ্রামের পুটিয়ার মো. হারুন, ১৮. পাবনা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভূতি ভূষণ সরকার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি উন্নয়নে জনগণ এবং প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করতে কৃষি পদক দেওয়া চালু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর চালু করা পদক প্রদানকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার তহবিল আইন-২০০৯ প্রণয়ন করা হয়। এ কর্মকাণ্ডকে আরো গতিশীল করতে পরে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের আলোকে প্রথমবারের মতো ১৪২১ ও ১৪২২ সালের জন্য ৫৫ জন ব্যক্তি ও নয়টি প্রতিষ্ঠানকে ১০টি স্বর্ণ, ১১টি রৌপ্য ও ৩৬টি ব্রোঞ্জ পদক দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কৃষি সচিব মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ এ পদক বিতরণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ