সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েচট্টগ্রাম বিভাগমিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা ঠেকাতে নাফ নদীতে প্রয়োজনে মাছধরা নিষিদ্ধ করা হবে

মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা ঠেকাতে নাফ নদীতে প্রয়োজনে মাছধরা নিষিদ্ধ করা হবে

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবা আসা ঠেকাতে নাফ নদীতে প্রয়োজনে মাছধরা নিষিদ্ধ করা হবে। তিনি বলেন,  নাফ নদীতে আমরা একটা কর্মসূচি নিচ্ছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এরপর কর্মসূচি  ঘোষণা করব। নাফ নদীতে জেলেদের কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করব।  যাতে তারা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে। আমরা এটা পরীক্ষামূলকভাবে করব। শনিবার  বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ এর কার্যালয়ে আয়োজিত মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ১৭৮ কোটি ২৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ কোটি ৭০ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ হাজার ১৮১ বোতল ফেনসিডিল, ২০০ বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার এবং ২০০ কেজি গাঁজা ধ্বংস করা হয়।

অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন  ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, সামশুল হক চৌধুরী এমপি, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আতাহার আলী ও সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। বিকেলে আনোয়ারায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সরকারের ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তাই মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, মাদক মানুষের মস্তিষ্ক নষ্ট করে। তাই মাদকের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে। তা না হলে যুব সমাজ দিনদিন নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষকে কাজ করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে তাদের বুঝাতে হবে। প্রয়োজনে তাদের চিকিৎসা করা হবে। তাহলে বাংলাদেশ ভিশনে পৌঁছাতে পারবে। মন্ত্রী বলেন, এক সময় ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণ ফেনসিডিল আসতো। আমাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ রাখার কারণে এখন তা অনেকাংশে কমে এসেছে। আমরা ভারতকে তাদের সীমন্ত এলাকার সকল ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করে দিতে বলেছি। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকায় জঙ্গিবাদ দমন করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনশৃংখলা বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। সকলে চেষ্টা করলে জঙ্গি দমনের মতো মাদকও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, এখন মাদক হিসেবে ইয়াবা সমাজে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বহনে সহজ হওয়ায় ইয়াবার ব্যাপকতা বাড়ছে। মায়ানমার থেকে ইয়াবার প্রবেশ ঠেকাতে, আমরা সে দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলছি। নাফ নদীতে টহল বাড়ানো হয়েছে, বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। নাফ নদীর গহীন এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে একটি হেলিকপ্টার দেয়া হচ্ছে। আমরা আর কোনো ঐশী দেখতে চাই না। আমার আমাদের সন্তানদের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে মাদকের মূল জায়গায় আঘাত করতে চাই। তাই এই বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ