শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনডা. ইসমাইল চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য

ডা. ইসমাইল চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) প্রাক্তন ছাত্র। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ তাকে নিয়োগ দিয়েছেন।

 সোমবার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার ভিসি নিয়োগের বিষয়টি জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। নিয়োগ পেয়ে সবার সহযোগিতা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করার কথা বললেন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান।  তিনি বলেন, আমি চট্টগ্রামের মানুষ। চট্টগ্রামেই আমার বেড়ে ওঠা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়াকালীন ছাত্র রাজনীতি করেছি। পরে একই কলেজে শিক্ষকতাও করেছি। এখন চট্টগ্রামের একমাত্র উচ্চতর চিকিৎসা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যে গুরু দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করা হয়েছে, সকলকে সাথে নিয়ে আমি এই দায়িত্ব পালন করতে চাই।

অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইলের জন্ম মিরসরাইয়ের মধ্যম মঘাদিয়া গ্রামের শান্তা কাজীর বাড়িতে। বাবা মরহুম মো. আকরাম খান ও মা মরহুম হোসনে আরা বেগম। মিরসরাই পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে এসএসসি ও ১৯৭৭ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি উত্তীর্ণের পর ভর্তি হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। চমেক থেকে ১৯৮৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৮৮ সালে চমেক-এ প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। ফার্মাকোলজিতে এমফিল করা এ চিকিৎসক সিডনি ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে মেডিকেল এডুকেশনে (এমই) পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেন। দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি মালয়েশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্সে তিন বছর শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা আছে তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগীয় প্রধানের পাশাপশি উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন চার বছর। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের নির্বাচিত ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। রাজনীতিতেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন ইসমাইল খান। ১৯৮২-৮৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সক্রিয় ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদেও (স্বাচিপ)।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ