শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসন্দ্বীপে উল্টে যাওয়া লাল বোটের চার যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

সন্দ্বীপে উল্টে যাওয়া লাল বোটের চার যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে সী-ট্রাক থেকে নামার সময় উল্টে যাওয়া লাল বোটের চার যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তারা চারজনই পুরুষ। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ জনকে। কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা মো. আমিনুল হক জানিয়েছেন, রোববার দিনগত রাতে তিনটি এবং সোমবার সকালে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ জনকে। সাগরে প্রচণ্ড বাতাস ও স্রোতের গতিবেগ অত্যধিক হওয়ায় উদ্ধার অভিযানে বেগ পেতে হচ্ছে। সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে উদ্ধার হওয়া তিনটি মরদেহ শচীন্দ্র জলদাস (৫৫), বড়দা জলদাস (৬০) ও সালাউদ্দিনের (৩০)। সোমবার সকালে আরেকজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

সীতাকুণ্ডের কুমিরা ঘাট থেকে সী ট্রাকটি বিকেল চারটার দিকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এক ঘণ্টার যাত্রাপথে সাগরে ভাটা হওয়ায় কারেন্ট (স্রোত) বেশি থাকার পাশাপাশি বৈরী আবহাওয়ার কারণে সী ট্রাকটি পৌঁছাতে সন্ধ্যা সাতটা হয়ে যায়। কয়েকশ মিটার দূরে অবস্থান নেওয়ার পর সী ট্রাক থেকে ঘাটে ওঠার জন্য লাল বোটে চড়েন যাত্রীরা। ওই সী-ট্রাক থেকে এক ট্রিপে তিনটি লাল বোট যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ট্রিপে তিনটির একটি লাল বোট উল্টে যায়। ওই বোটে কতজন যাত্রী ছিল এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন ৩০-৪০ জন হবে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সন্দ্বীপ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোখতাদের আজাদ খান সোমবার সকালে জানান, আমাদের কাছে অন্তত ১৫ জন নারী, শিশু ও বৃদ্ধার ছবি আছে যারা লাল বোট উল্টে নিখোঁজ হয়েছেন।

লাল বোট ডুবে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা জানান, যেহেতু ঘাটগুলো জেলা পরিষদের এবং সী ট্রাকের ১৫০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ার একটি অংশ তারা পায় তাই সংস্থাটিকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সারা রাত উদ্ধার অভিযান মনিটরিং করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সাগর এত বেশি উত্তাল ছিল যে কোনো জাহাজই উদ্ধার অভিযানে যেতে পারেনি। স্থানীয় স্পিড বোট ও কাঠের নৌকা দিয়ে কোনো রকমে উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি শিক্ষা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ