বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিরোধীদল আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ন্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবে- প্রধানমন্ত্রী...

বিরোধীদল আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ন্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

PM-Sherman

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন, বিরোধীদল আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ন্যায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শেরম্যান আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করে ন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব বিজন লাল দেব জানান, শেখ হাসিনা এবং শেরম্যান বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা এবং পোশাক শিল্প খাত সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দেশে গণতন্ত্র সুসংহতকরণে সবধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বজায় রাখতে অঙ্গীকারাবন্ধ বিধায় গণতন্ত্র আরো শক্তিশালীকরণে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীনভাবে কাজ করছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে বর্তমান ইসি গঠন করেন। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে কখনো হস্তক্ষেপ করবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত সাড়ে চার বছরে জাতীয় সংসদের ১৫টি উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫ হাজার ৬৪৫টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, সকল নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কেউই এসব নির্বাচন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তুলতে পারেনি। পোশাক খাতের সমস্যা সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের জন্য একটি পৃথক ওয়েজ বোর্ড গঠনের কাজ এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, ‘পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়ে বর্তমান শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে।’ শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে শেরম্যান বাংলাদেশে বিদ্যমান গণতন্ত্রের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখে খুবই খুশী।’
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প খাতে বর্তমান সমস্যা সম্পর্কে তিনি বলেন, মার্কিন যুুক্তরাষ্ট্রও গত শতাব্দীতে একই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করেছে এবং রূপান্তর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশও একই ধরনের রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে।’ যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দিন দিন জোরদার হচ্ছে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ূ পরিবর্তন এবং মুসলিম উম্মার সঙ্গে সম্পর্ক গঠনের মতো সকল আন্তর্জাতিক উদ্যোগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জলবায়ূ ফোরামের কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ এই ফোরামের অন্যতম শরিক। শেরম্যান দারিদ্র্য বিমোচন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস এবং নারীর ক্ষমতায়নে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।  রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন, মায়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেবে। এ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব শেখ মোহাম্মদ ওয়াহিদ উজ জামান, বিশেষ সহকারি ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ