ইসির এই সিদ্ধান্তকে ‘অস্বাভাবিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ইসির ‘বহিরাগত’ শব্দটাই বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য অপমানজনক। দেশের একজন নাগরিক কেন দেশের মধ্যে বহিরাগত হতে যাবেন। বহিরাগত তো তারা, যারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন। যারা রাতের অন্ধকারে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, মূলত খালেদা জিয়া বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে অংশ নিলে ধানের শীষের পক্ষে আরো ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হবে ভেবেই ভোটারবিহীন সরকার ইসিকে দিয়ে এই পরিপত্র জারি করিয়েছে-যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সোমবার খালেদা জিয়ার প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মামলা মোকদ্দমাসহ নানাবিধ ঝামেলা থাকার কারণে নাসিক নির্বাচনে দল মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া- বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিলে রিজভী বলেন, মামলা মোকদ্দমা তো আছেই। খালেদা জিয়ার যেতে না পারার অন্যতম কারণ নির্বাচন কমিশনের এই পরিপত্র। পাঁচ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা শুরু হলেও এতদিন নাসিকে গেলেন না কেন খালেদা জিয়া-এক সাংবাদিকের করা এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তো আগে-ভাগে বলে কয়ে যাওয়া যায় না। হঠাৎ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যেতে হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আতাউর রহমান ঢালি, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম আজাদ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আসাদুল করীম শাহীন, আবু নাছের মোহম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।