সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনদিয়াজের মরদেহ তোলা হবে ১০ ডিসেম্বর

দিয়াজের মরদেহ তোলা হবে ১০ ডিসেম্বর

রহস্যজনক মৃত্যুর শিকার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফার চৌধুরীর মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে ১০ ডিসেম্বর। ওইদিন ভোরে তার মরদেহ তোলা হবে।  এজন্য ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তদন্তের দায়িত্বে থাকা সিআইডি। বিষয়টি জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পুলিশ সুপার অহিদুর রহমান।

তিনি বলেন, দিয়াজের মরদেহ শনিবার ভোর ৫টা-৬ টার দিকে তার মরদেহ তোলা হবে।  প্রস্তুতি হিসেবে এ জন্য অ্যাম্বুলেন্সও ঠিক করা হয়েছে।  পাশাপাশি হাটাহাজারী উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ওসি, তদন্ত কর্মকর্তা ও আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মরদেহ তোলার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানান তিনি। দিয়াজের  বড় বোন জুবাঈদা সরোয়ার চৌধুরী নিপা বলেন, শনিবার সকালে দিয়াজের মরদেহ তোলা হবে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন।

এর আগে ০৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে তদন্তের জন্য দিয়াজের মরদেহ তোলার আদেশ দেন।  একইসঙ্গে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধানকে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ২০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝ‍ুলানো অবস্থায় দিয়াজের মরদেহ দেখা যায়।  রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

২৩ নভেম্বর দিয়াজের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  এতে দিয়াজের মৃত্যু আত্মহত্যাজনিত কারণে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।  তবে দিয়াজের পরিবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে তাকে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে। গত ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

দিয়াজ হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু,  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনসুর আলম, আবদুল মালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তোরাব পরশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপ প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, সদস্য আরেফুল হক অপুর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।  আদালত সরাসরি মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের আদেশ দিয়ে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ