সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনসুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার স্বার্থে আনোয়ারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিই

সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার স্বার্থে আনোয়ারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিই

অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী নিজের অত্যন্ত প্রিয় ছাত্র ছিল উল্লেখ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘দিয়াজের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত। হত্যা না আত্মহত্যা সেটা আমি জানি না।তার মৃত্যু আমাদের জন্য কষ্টের। সে প্রতিদিন ফোন করে আমার খোঁজ নিত।আমার অত্যন্ত প্রিয় ছাত্র ছিল সে। ২৯ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন। জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন উপাচার্য।

উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দেশের সর্ববৃহৎ সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষ করে দিয়াজের মৃত্যুর দিন আমি ঢাকায় এক জরুরি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাই। কিন্তু ওই দিন রাতে দিয়াজের মামা ফোনে আমাকে তার মৃত্যুর বিষয়টি জানায়।আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলি। তিনি  বলেন, ‘ঘটনাটি কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গার বাইরে ছিল। তারপরও আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যা যা সহযোগিতা করা দরকার তা করেছি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। যেহেতু এটি তদন্তাধীন তাই তার মৃত্যুকে নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

উপাচার্য বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। এজন্য মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা এটি তদন্ত করা হোক। এজন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। ‘আমি দিয়াজের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তার জানাজায় অংশ নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কবরের ব্যবস্থা করেছি। গত শুক্রবারও আমি তার কবর জেয়ারত করেছি।’ বলেন-উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর অব্যাহতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আনোয়ার মেধাবী ছাত্র ছিল। শিক্ষক হিসেবেও তিনি অত্যন্ত ভাল।বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে তার অবদান অনেক। সে সাহসীও।বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে বলে যে সংবাদ বেরিয়েছে তা সঠিক নয়।’

তিনি বলেন, ‘আনোয়ার নিজেই প্রথমে মৌখিকভাবে আমাকে বলেছে, ‘‘স্যার আমার নামে যেহেতু কথিত অভিযোগ উঠেছে সেহেতু সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি আমার পদ থেকে অব্যাহতি চাই। পরে আমি তাকে বলেছি, দেখ বিষয়টা এখনও তদন্তাধীন, তুমি তো অভিযুক্ত না। তোমার অব্যাহতির বিষয়টি আমি গ্রহণ করছি না। ‘পরে গত ২৭ তারিখ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে আনোয়ার একটি আবেদন লিখে অব্যাহতি চ‍ায়। তার ওই আবেদনে সে লিখেছে, ‘সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সে অব্যাহতি চায়। তারপর বিষয়টি প্রক্টর আমাকে জানায়।তার আবেদনের প্রেক্ষিতে পরে সোমবার আমি তাকে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়ার স্বার্থে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। কেউ যদি এটি মনে করে তাহলে ভুল। আনোয়ারকে অপসারণ করার প্রশ্নই উঠে না। সে তো আজও কোনো অভিযুক্ত হয়নি। আর যে কেউ অভিযোগ দিতেই পারে। সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল।যাদের চোখে আমিও খারাপ ছিলাম তাদের চোখে আমি এখন ভাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. কামরুল হুদা ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য ও ফটোগ্রাফি) ফরহাদ হোসেন খান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ