ঘূর্ণিঝড় মহাসেন এর ফলে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পরে। প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ জোয়ারের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৫/৫/২০১৩ তারিখে বাঁধের বিভিনড়ব স্থান ভেঙ্গে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের গুরামিয়ার হাট, চরআনন্দ ও কালুঘর, কাছিয়া ইউনিয়নের কাঠিরমাথা, সমাদ্দর, ভবানীপুর, চৌমুহনী ও নিচ-কাচিয়া, ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি, তুলাতলীরমাথা ও নাছিরমাঝি, শিবপুর ইউনিয়নের কালীকীতির্, রাজাপুর ইউনিয়নের দাশের হাট, সুলতানাবাদ ও বঙ্গের চর, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রসাদ ও কুলকান্দি, ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ছোট ভেদুরিয়া ও মাঝ ভেদুরিয়া এবং দক্ষিণ দিঘলদি ইউনিয়নের গোয়ালিয়া, শান্তির হাট ও বালিয়াসহ বিভিনড়ব গ্রাম উজানের ঢলের পানিতে তলিয়ে যায়।
যার ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী ও গৃহহারা হয়ে পরে। পানিতে ক্ষেতের উঠতি ফসল, পানের বরজ, পুকুরের মাছ, হাঁস-মুরগীর খামার ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উল্লেখ্য যে, অদ্য প্রাথমিক ভাবে ভোলা জেলা রেড μিসেন্ট ইউনিট এর পক্ষ থেকে ১০০ কেজি চিড়া ও ৫০ কেজি গুড় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যগণ অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ইতোমধ্যে ঘরে ঘরে জ¦র-কাশি, আমাশয় ও ডায়রিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধা-বৃদ্ধাগণ আμান্ত হচ্ছে। পানির তোড়ে ঘরের ভিটির মাটি সরে যাওয়ায় অনেক বসত ঘর ভেঙ্গে পরেছে এবং কেহ কেহ ঘর নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। এমতবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে নতুন করে উজানের ঢলের পানির দুর্যোগে আμান্ত ক্ষতিগ্রস্থদের জরুরী শুকনা খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দেয়া জরুরী হয়ে পরেছে।
প্লাবিত এলাকায় অদ্য ২৭.০৫.১৩ তারিখে ভোলা জেলা রেড μিসেন্ট ইউনিটের সেμেটারী, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ, ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা, যুব রেড μিসেন্ট-এর সদস্যগণ পরিদর্শনে যান। বাংলাদেশ রেড μিসেন্ট সোসাইটি, জাতীয় সদর দপ্তরের ইউনিট এ্যাফেয়ার্স বিভাগের পরিচালক মোঃ নূর ইসলাম খান অসি, জাতীয় দুর্যোগ সাড়াপ্রদান দলের(এনডিআরটি) সদস্য খান মোঃ তাজুল ইসলাম ও শুভাশীষ দাশ উক্ত পরিদর্শন দলে উপস্থিত ছিলেন।