শনিবার, মে ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদটপমাদ্রাসাকে জঙ্গি তৈরির কারখানা বলবেন না

মাদ্রাসাকে জঙ্গি তৈরির কারখানা বলবেন না

শিক্ষ‍ামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, মাদ্রাসাকে জঙ্গি তৈরির কারখানা বলবেন না। কারণ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেখানে ধনীদের মেধাবী সন্তানরা পড়ালেখা করে, সেখানে জঙ্গির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই জঙ্গি যে কোনো জায়গায় হতে পারে। এটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। ২৪ জুলাই রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে মাদ্রাসা শিক্ষকদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই নজরদারি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি তথ্য পেয়েছি। কিন্তু আমাদের বক্তব্য তখন কেউ আমলে নেয়নি। তবে আমাদের চাপেই সে সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বরখাস্ত করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়কেই নজরদারিতে রাখতে হবে। কারো মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাবেন। শিক্ষার্থীদের মানবতা নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। কারণ যারা জঙ্গি হচ্ছে তাদের ভুল বুঝানো হচ্ছে। মৃত্যুর পর বেহেশত ও হুর-পরী পাওয়ার লোভ দেখিয়ে বিপথগামী করা হচ্ছে। তাই জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা ও ইতিহাস ঐতিহ্যের শিক্ষা দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসায় অবশ্যই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। অন্যতায় অন্যায় হবে। এছাড়া অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম ছায়েফ উল্যা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) এএস মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব (মাদ্রাসা) এসএম এহসান কবীর, ইসলামিক অ্যারাবিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আহসানউল্ল্যাহ, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। আলোচনা সভায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মাদ্রাসা শিক্ষকরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।

তারা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নজরদারি ছাড়া জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের বিকল্প নেই। বিশেষ করে হোস্টেল, হলগুলোকে বেশি নজরদারি করতে হবে। এছাড়া কেন্দ্র ভিত্তিক মাদ্রাসাগুলো নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে কোরআন এর সঠিক ব্যাখ্যাও শিক্ষার্থীদের শেখানোর ওপর জোর দেন তারা।

অন্যদিকে সকল মাধ্যমের পাঠ্যসূচিতেই ৫ম থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত কোরআন শিক্ষা অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিও জোর দেন। সভায় সারাদেশ থেকে ১ হাজার ১৯৩টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং কেন্দ্র সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। গত ১৭ জুলাই থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে জঙ্গি প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী ৩০ জুলাই টেকনিক্যাল মাধ্যমের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তার এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ