শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনমিতু হত্যাকাণ্ড। পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় গুন্নু-রবিন জড়িত কি না

মিতু হত্যাকাণ্ড। পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয় গুন্নু-রবিন জড়িত কি না

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু আক্তার খুনের ঘটনায় আটক আবু নছর গুন্নু ও শাহ জামান রবিন জড়িত কি না এ বিষয়ে পুলিশ এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার। বৃহস্পতিবার সিএমপি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি। পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, আটক দুজন মিতু হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না তা এখনো বলতে পারছি না।  তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  আরও ৪দিন তারা পুলিশের হেফাজতে থাকবে।  এ ঘটনায় তাদের কাছ থেকে তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।  জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন ফলাফল জানাতে পারবো। মিতু হত্যার তদন্তে কোন দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের হাতে সম্ভাব্য যত অপশন আছে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  কোন অপশন আমরা খালি রাখছি না।  তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে টার্গেট কিলিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য কম আসছে।  এজন্য জনসাধারণের প্রতি বলবো, আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।  পর্যাপ্ত তথ্য পেলে এ ধরনের ঘটনা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। এর আগে ১২ ‍জুন মিতু খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক গুন্নু ও রবিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।

গত ৭ জুন হাটহাজারীর মূসাবিয়া দরবার শরীফ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু নছর গুন্নুকে আটক করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।  গুন্নুকে আটকের পর মূসাবিয়া দরবারের পরিচালনা কমিটির একাংশ সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করে, পুলিশ ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে মিতু হত্যায় ফাঁসিয়েছে। শাহ জামমান রবিনকে ১১ জুন রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার শীতলঝর্ণা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।  তাকে মূল খুনি হিসেবে সন্দেহ করছে পুলিশ।

গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম ‍মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ