শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপকেরু অ্যান্ড কোং ছাড়া বাকি ১৪টি চিনিকল লোকসানে

কেরু অ্যান্ড কোং ছাড়া বাকি ১৪টি চিনিকল লোকসানে

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে ১৫টি চিনিকল রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কেরু অ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডই মুনাফায়। বাকি ১৪টি প্রতিষ্ঠানই লোকসানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ১৪ জুন সকালে দশম জাতীয় সংসদের একাদশতম অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। লোকসানের কারণ হিসেবে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, আখের উৎপাদন হ্রাস পাওয়া, চিনি আহরণ হার কমে যাওয়া, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, উৎপাদন উপকরণ ও যন্ত্রাংশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া।

মন্ত্রী আরো জানান, সরকার নির্ধারিত দামে আখের ক্রয়মূল্য পরিশোধ, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতিতে চিনির উৎপাদন মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের অধিকতর গ্যাপ থাকাও কারণ। আখ স্বল্পতায় কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার না হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও লোকসানে রয়েছে চিনিকলগুলো।

লোকসানি চিনিকলগুলো লাভজনক করতে বিভিন্ন চিনিকলের জন্য পাওয়ার টারবাইন, ডিজেল জেনারেটর ও বয়লার প্রতিস্থাপন প্রকল্প (জয়পুরহাট চিনিকলের বয়লার, নর্থবেঙ্গল, কুষ্টিয়া,  কেরু অ্যান্ড কোং ও ফরিদপুর চিনিকলগুলোর ডিজেল জেনারেটর এবং ঝিলবাংলা ও পাবনা চিনিকলে পাওয়ার টারবাই সংযোজন) গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি হলে লোকসান অনেকাংশে কমে আসবে।

প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে কারখানার চিনি আহরণ হার বৃদ্ধি পাবে, অধিক চিনি উৎপাদিত হবে, চিনির গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে এবং চিনিকলগুলোর আয় বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (ঈশ্বরদী) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও অধিক চিনিসমৃদ্ধ আখের উন্নতজাত পর্যায়ক্রমে চাষিদের মধ্যে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রোপা পদ্ধতিতে আখের ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আখচাষে প্রণোদনা দিয়ে চাষিদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ