শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......উত্তরাধিকারের রাজনীতি করতে চাই না : টিউলিপ সিদ্দিকী

উত্তরাধিকারের রাজনীতি করতে চাই না : টিউলিপ সিদ্দিকী

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকী বলেছেন, বংশগত উত্তরাধিকারের রাজনীতি করতে চান না বলেই তিনি বাংলাদেশে না ফিরে ব্রিটেনে মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। টিউলিপ বলেন, নিজের যোগ্যতায় তিনি এমপি হওয়ার জন্য লেবার পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন।
গত সপ্তাহে লন্ডনের কিলবার্ন ও হ্যামস্টেড নির্বাচনী এলাকায় লেবার পার্টির দলীয় সদস্যদের ভোটে তাঁর মনোনয়ন লাভের পর বৃহস্পতিবার টিউলিপ লন্ডনে নিজ নির্বাচনী এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়ে এসব মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর মা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন। তবে শেখ রেহানা মেয়ের জন্য দোয়া ছাড়া আর কোনো বিষয়ে বক্তব্য দেননি।
আগামী নির্বাচনে লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সবার সহযোগিতা কামনা করে টিউলিপ বলেন, রুশনারা আলীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা যে ধরনের জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন, তিনি আশা করেন যে তাঁর ক্ষেত্রেও সবাই সেভাবেই এগিয়ে আসবেন।
প্রসঙ্গত বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও শেখ রেহানা কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকী ব্রিটিশ লেবার পার্টির পার্লামেন্টারি প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। ২০১৫ সালে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে তিনি লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পার্লামেন্টারি প্রার্থী হওয়ার পথে টিউলিপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় হ্যাকনি বারার ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সফি লিনডেন ও ক্যামডেন বারার কাউন্সিলর সেলি গিমজনের। টিউলিপ নিজেও ক্যামডেন বারার রিজেন্টস পার্ক ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর। বারায় তিনি ক্যাবিনেট লিড মেম্বারের দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে টিউলিপ ক্যামডেন বারার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনিই এই বারার প্রথম বাঙালি মহিলা কাউন্সিলর। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও ড: শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপের জন্ম ব্রিটেনে হলেও তার শৈশব কেটেছে ৭টি বিভিন্ন দেশে। ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী টিউলিপ পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনে। তিনি পলিটিক্স, পলিসি এন্ড গভর্নমেন্ট বিষয়েও দ্বিতীয়বার মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
সম্প্রতি টিউলিপ বিয়ে করেন ক্রিস পার্সি নামের এক ব্রিটিশ নাগরিককে। গত সপ্তাহে লন্ডনে বিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠানে তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ