রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনঅচল কর্ণফুলীর ১৬ ঘাট

অচল কর্ণফুলীর ১৬ ঘাট

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে কর্ণফুলী নদীর ১৬ ঘাট।  বুধবার মধ্যরাত থেকে সারা দেশের মতো কর্ণফুলীর ১৬ ঘাটেও পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে স্বাভাবিক পণ্য খালাস চলছে। বন্দর কনট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চারটি জাহাজ বন্দর ছেড়ে গেছে এবং আটটি জাহাজ জেটিতে ভিড়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজ থেকে খোলা পণ্য বোঝাই করে আসা ছোট জাহাজগুলো (লাইটার) থেকে কর্ণফুলীর ঘাটগুলোতে কোন পণ্য ওঠানামা করছে না। বসে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। ঘাট শ্রমিকদের ঘাটে ও নৌযান শ্রমিকদের নৌযানে বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে এ পর্যন্ত তারা কোন মিছিল বা সমাবেশ করেনি। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, বন্দরের জেটিতে দেশি-বিদেশি বড় জাহাজগুলোতে স্বাভাবিক কাজ চলছে। তবে কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলোতে অবস্থানরত লাইটার জাহাজ, ট্যাংকারগুলোতে কাজ বন্ধ রয়েছে।

লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নবী আলম মাস্টার বলেন, নৌযান শ্রমিকদের বেতন সরকারি পে-স্কেলের সঙ্গে সমন্বয় এবং নদী পথে অব্যাহত চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে বুধবার আমরা মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসেছিলাম। ১০ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হলেও আমাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে বৈঠকে কোন সুরাহা হয়নি। তাই বুধবার রাত ১২টা থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, নৌযানের (কার্গো, কোস্টার, বার্জ) শ্রমিক-কর্মচারীরা তাদের কাজ বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন। সারাদেশে এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।  তবে ব্যক্তি মালিকানাধীন লাইটার জাহাজের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ