সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েনারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন খারিজ

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন খারিজ

বহুল আলোচিত নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলা বাতিল চেয়ে আসামি তারেক সাঈদের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ মার্চ এ আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এর আগে ১৩ মার্চ এ রিট আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় ওই বেঞ্চে। তারেক সাইদের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবির শুনানিতে অংশ নেন। ৭ খুন মামলার আসামি র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এ রিট দায়ের করেন। রিটে মামলার আইনগত বৈধতা নেই উল্লেখ করে মামলা বাতিলের আরজি ও অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

গত ০৬ মার্চ এ রিটের শুনানি শেষে ০৮ মার্চ এ আবেদনের আদেশ দেওয়ার সময় বিব্রতবোধ করেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। তারা আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। ফলে আইন অনুসারে তৃতীয় বেঞ্চ গঠন করে আবেদন নিষ্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা।

এদিকে মামলা দু’টি বাতিল চেয়ে রোববারই অপর একটি রিট আবেদন করেছেন প্রদান আসামি নূর হোসেন। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদনটি করেন নূর হোসেনের আইনজীবী এস আর এম লুৎফর রহমান আকন্দ। বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন লুৎফর রহমান আকন্দ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলে নূর হোসেন ছিলেন সাক্ষ্যে এমন কোনো বক্তব্য উঠে আসেনি। এমনকি র‌্যাবের অভিযুক্ত সদস্যরা বলেছেন- তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এছাড়া কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রীর করা মামলা হয়েছে ঘটনার ১২ দিন পরে। ওই মামলায় এজাহারে কারো নাম নেই। তাই নূর হোসেনের বিরুদ্ধে এ মামলা চলতে পারে না। এজন্য মামলা দু’টি বাতিলের আবেদন জানানো হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় দু’টি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ এপ্রিল কাউন্সিলর নূর হোসেন এবং র‌্যাবের চাকরিচ্যুত ৩ কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এমএম রানাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় পুলিশ। গত ০৮ ফেব্রুয়ারি সাত খুনের দু’টি মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক ৩ কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। এ মামলায় ভারতে আটক নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। বাকি ১২ জন পলাতক রয়েছেন। হত্যার দায় স্বীকার করে র‌্যাবের ১৭ জনসহ ২২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ঘটনার সাক্ষী হিসেবে র‌্যাব সদস্যসহ ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ