আদালত প্রতিনিধিঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
অপরাধ প্রমাণ হওয়া সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি (ফাঁসি) না হওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের সদস্য ব্যরিস্টার তুরীন আফরোজ।
তিনি বলেছেন, “একাত্তরে বয়সের কারণে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি। সেসময় বয়সের কারণে কোনো শিশু ছাড় পায়নি।”
ওই সময় কোনো বৃদ্ধ বা নারীকেও বয়সের কারণে ছাড় দেয়া হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জামায়াতের ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে সোমবার ৯০ বছর বা আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে এই রায়ের পর কয়েকটি টেলিভিশনকে তার প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন তুরীন আফরোজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের একটি ধারা অনুযায়ী গোলাম আযমকে সব অপরাধ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও সর্বোচ্চ শাস্তি না দিয়ে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন উল্লেখ করে তুরীন বলেন, তারা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
তিনি বলেন, গোলাম আযমের অপরাধ সর্বোচ্চ শাস্তির মতো অপরাধ। কিন্তু তাকে শারীরিক অবস্থার কারণে ‘কনসিডার’ করা হয়েছে।
বাংলাদেশকে সব সম্ভবের দেশ অভিহিত করে তুরীন বলেন, “৪২ বছর পর যেমন যুদ্ধাপরাধীদের হচ্ছে, তেমনি সব অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পরও সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে না।”
১৯৭১ সালে বয়সের কারণে কাউকে ছাড় দেয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শাস্তির ব্যাপারে আমাদের অসন্তোষ রয়েছে।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এর বিরোধিতারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর আমির ছিলেন গোলাম আযম।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মূল পরিকল্পনাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, উস্কানিদাতা, প্ররোচনাকারী ও সম্পৃক্ততাকারী হিসেবে পাঁচ ধরনের ৬১টি অভিযোগে গোলাম আযমকে সোমবার বিভিন্ন মেয়াদে মোট ৯০ বছর বা আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।