শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপ্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পও আটকে নিতে চায় ‘হাওয়া ভবন সিন্ডিকেট !

প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পও আটকে নিতে চায় ‘হাওয়া ভবন সিন্ডিকেট !

সিটিভি নামে পরিচিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ছয় ঘণ্টার সম্প্রচারে নিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কর্মযজ্ঞ যখন চলছে তা ঠেকাতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  গত ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ছয় ঘণ্টার সম্প্রচার উদ্বোধন করার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে গেছে। অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলের বহুল আলোচিত ‘হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ’ কিছু কর্মকর্তা সিটিভিতে বসে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা যাতে বাস্তবায়ন না হয় সেই চেষ্টা করছেন।  একসময় হাওয়া ভবনের নাম ভাঙিয়ে দোর্দণ্ড প্রতাপে চলা এসব কর্মকর্তা সিটিভিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়।  এজন্য নিউজ ইনচার্জ নূরুল আজম পবন, উর্দ্ধতন শিল্প নির্দেশক মাসুদুর রহমান কাজল এবং উর্দ্ধতন চিত্রগ্রাহক এম আসাদুজ্জামান মিঠুর নেতৃত্বে ওই সিন্ডিকেট বর্তমান মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জা-নেসার ওসমানকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সিটিভিতে এ ধরনের তৎপরতার কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক জা-নেসার ওসমান। তিনি বলেন, পানিশমেন্ট ট্রান্সফারে (শাস্তিমূলক বদলি) আসা কয়েকজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটা মহল বিভিন্নভাবে আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে।  তাদের আসল উদ্দেশ্য ছয় ঘণ্টার সম্প্রচারটা ঠেকিয়ে রাখা।  এজন্য তারা সাবোটাজ করার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াত ঘনিষ্ঠ ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তালিকাভুক্ত সাধারণ শিল্পী এবং পরিচালকেদেরও।

তালিকাভুক্ত শিল্পী ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী বলেন, কারও নাম বলতে চাইনা।  তবে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে যারা চায় না সিটিভি ছয় ঘণ্টার সম্প্রচারে যাক।  শিল্পীদেরও একটা অংশ আছে যারা একসময় সিটিভিকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল।  ৫-৬ জন শিল্পী পুরো মাসের অনুষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করত।  জিএম জা-নেসার ওসমান এসে এখন দেড়’শ শিল্পীকে সুযোগ করে দিয়েছেন।  এজন্য আগের শিল্পীরা ওই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সঙ্গীত পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, সিটিভির ভেতরের কিছু কর্মকর্তা এবং বাইরের কিছু শিল্পী চাচ্ছেন না ছয় ঘণ্টা সম্প্রচার হোক।  কারণ এতে তাদের প্রভাব কমে যাবে।  আগে সিটিভিতে অনুষ্ঠান করতে গেলে ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হত।  এখন টাকা দিতে হয়না।  এই উপরি আয় বন্ধ হয়ে যাওয়াতে অনেকে জোট বেধেছেন।  আমি সিন্ডিকেটের মধ্যে কারা কারা আছে সেটার তদন্ত চাই।

সঙ্গীত শিল্পী অনামিকা তালুকদার বলেন, সিটিভি একসময় একটা নষ্ট চ্যানেল ছিল।  আমরা গান করলেও নিজেরাই সিটিভি দেখতাম না।  এটার মান খুব খারাপ ছিল।  আগে মান বিচার করে শিল্পী নেয়া হয়নি।  একই শিল্পীকে প্রতিদিন প্রোগ্রাম দেয়া হত।  এখন আর সেই সুযোগ নেই।  এখন প্রোগ্রামের মান বেড়েছে।  আগের শিল্পীরা যখন আর প্রতিদিন প্রোগ্রাম পাচ্ছেনা তখন বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছেন।  দালাল চক্র আর মুখোশধারী লোকজন অবশ্য এখনও সিটিভির ভেতরে অবস্থান করছেন। সূত্রমতে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে হাওয়া ভবনের তারেক রহমানের নাম ভাঙিয়ে চলা দাপুটে সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত নূরুল আজম পবনকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সিটিভিতে বদলি করা হয়।  উর্দ্ধতন শিল্প নির্দেশক মাসুদুর রহমান কাজল জোট সরকারের আমলে তারেকের বন্ধু ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াস আল মামুনের সুপারিশে বিটিভিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে আলোচনা আছে।  আর বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের ঘনিষ্ঠজন এম আসাদুজ্জামান মিঠু সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমানের সুপারিশে বিটিভিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে আলোচনা আছে।  তাদেরকেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিটিভির মূল কেন্দ্র থেকে সিটিভিতে পাঠানো হয়।

তবে দীর্ঘসময় ধরে সিটিভিতে অবস্থান করে নূরুল আজম পবন, মাসুদুর রহমান কাজল এবং আসাদুজ্জামান মিঠু ভোল পাল্টে নিজস্ব একটি বলয় সৃষ্টি করেছেন।  কৌশলে  একসময়ের রাজনৈতিক পরিচয় মুছে তারা সিটিভিতেও দাপট সৃষ্টি করেছেন। রাজনৈতিক পরিচয় আড়ালের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া গেছে নূরুল আজম পবনের কথায়।  বাংলানিউজের পক্ষ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তিনি প্রথমে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।  অভিযুক্ত হিসেবে বক্তব্য দেয়ার কথা বললে তিনি বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলাম না।  আমি ২৩ বছর ধরে সরকারি কর্মকর্তা।  আমার কোনকালেই কোন রাজনৈতিক অস্তিত্ব ছিলনা।  আমি সাংবাদিকতায় অনার্স-মাস্টার্স করেছি।  তারপরও আমাকে বিএনপি-জামায়াত বানানো হাস্যকর।

নূরুল আজম পবন কিছুদিন সিটিভিতে প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।  পরে শিল্পীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠলে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।  শিল্পী এবং প্রযোজকদের মধ্যে আলোচনা আছে, পবন সিটিভির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হওয়ার জন্য বিটিভির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে তদবির করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুল আজম পবন বলেন, এগুলো ফালতু অভিযোগ।  একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের জিএম কে হবেন সেটা তো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের উপর নির্ভর করে।  আমি চাইলেই বা কি ! আমার কথামতো কি সবকিছু চলে ?

পবনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি মন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচির সংবাদ সংগ্রহে গড়িমসি করেন।  প্রশাসনের নিউজ গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করলেও সরকারি দলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারে বাধা সৃষ্টি করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুল আজম পবন বলেন, মন্ত্রীর নিউজ প্রচারে বাধা সৃষ্টির কোন নজির নাই।  এসব অভিযোগ মিথ্যা।  সিডিউল অনুসারে সব মন্ত্রীর কর্মসূচি কাভার করা হয়।

এরপর নূরুল আজম পবন নিজ থেকেই বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের (সিটিভি) অর্থ লোপাট হচ্ছে।  শিল্পীদের সম্মানির টাকা লুটপাট হচ্ছে।  নামে-বেনামে শিল্পী সম্মানির টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে।  সরকারের অর্থ এভাবে লুটপাট হওয়া উচিৎ নয়।  আপনারা এসব লিখুন।

মাসুদুর রহমান কাজলের বিরুদ্ধে ‍অভিযোগ, তিনি একই সেটে নাচ, গান, আবৃত্তি, টকশোসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান করেন।  ডিজাইন পাল্টে সেট বানানোর জন্য বরাদ্দ থাকলেও তিনি সেটা লুটপাট করে সেট পরিবর্তন করেন না।  সম্প্রতি নতুন সেটের জন্য তিন লাখ টাকার কাঠ কেনার কথা বলে তিনি টাকাগুলো আত্মসাৎ করার চেষ্টা করেছিলেন।  কিন্তু জিএম প্রাথমিক তদন্তে কোন কাঠ সিটিভিতে না আসার প্রমাণ পেয়ে ওই বিল আটকে দেন।  বই দোকানের বিল দিয়ে কাজল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।  গত ২৩ জানুয়ারি অস্থায়ী ভিত্তিতে পাঁচজন সেট ডিজাইনার নিয়োগ দেয়া হলেও কাজল তাদের কাজ করতে দিচ্ছেন না বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাসুদুর রহমান কাজল বলেন, জিএম সাহেব যাদের প্রডিউসার বানিয়েছেন তারা প্রোগ্রামের জন্য কোন ধরনের সিডিউল মেইনটেইন করেন না।  গানের প্রোগ্রামের জন্য সেট বানানো হল, তারা এসে বললেন টক শো হবে।  এখন সঙ্গে সঙ্গে তো সেট চেইঞ্জ করে দিতে পারিনা।  কাঠ কেনার টাকা আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, জিএম’র রিকুইজিশন ছাড়া যেখানে একটা কলমও সিটিভিতে ঢুকতে পারেনা সেখানে কাঠ কেনার কথা বলে আমি তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেব এটা কি বিশ্বাসযোগ্য ? ২৫ হাজার টাকা রিকুইজিশন দেয়ার ক্ষমতাও তো আমার নাই।  আমরা তো সবাই জিএম’র কাছে জিম্মি।

রাজনৈতিক পরিচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবনে কী করেছি সেটা তো দেখার দরকার নাই।  আমি এখন সরকারি কর্মকর্তা।  কাজ করে ভাত খাই।  আমাকে বিএনপি-জামায়াত বলা হচ্ছে অথচ আমিই সিটিভিতে বঙ্গবন্ধুর তিনটা ছবি লাগিয়েছি।  শেখ হাসিনার ছবিও আমিই লাগিয়েছি।  আগে কোনদিন সিটিভিতে বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার ছবি ছিলনা। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক জা-নেসার ওসমান বলেন, প্রতি বছর কাঠ কেনার জন্য ২৫ লাখ টাকা করে সরকারি তহবিল থেকে তুলে নেয়া হয়েছে।  অথচ এক ফুট কাঠও সিটিভিতে ঢুকেনি।  প্রতি বছর যদি ২৫ লাখ টাকার কাঠ ঢুকতো তাহলে পুরো সিটিভি এলাকা তো কাঠে সয়লাব হয়ে যেত।  আমি কাগজ-কলমের এসব হিসাব বদলে দিয়েছি, চুরি করতে দিচ্ছিনা সেজন্য আমি খারাপ।

উর্দ্ধতন চিত্রগ্রাহক এম আসাদুজ্জামান মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যান্ত্রিক ত্রুটির অভিযোগ দিয়ে ক্যামেরা আটকে রেখে তিনি শিল্পীদের হয়রানি করেন।  অনুষ্ঠান করার জন্য আসা শিল্পীদের তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখেন এবং দুর্ব্যবহার করেন।  সম্প্রতি ২১টি গান রেকর্ডিংয়ের জন্য তারকা শিল্পী সন্দ্বীপনকে সিটিভিতে নেয়া হয়।  চার ঘণ্টা বসে থাকার পর বিরক্ত হয়ে সন্দ্বীপন চলে যান। তালিকাভুক্ত শিল্পী ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দীপেন চৌধুরী বলেন, আমার একটা অনুষ্ঠান ক্যামেরার কারণে আমি সাত ঘণ্টা পর করতে পেরেছি।  এই দুর্গতির জন্য অনেক শিল্পী সিটিভিতে যান না।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এম আসাদুজ্জামান মিঠু বলেন, আমি যদি শিল্পীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতাম, তাদের হয়রানি করতাম তাহলে তো কর্তৃপক্ষ আমাকে শোকজ করত।  অফিসিয়াল কোন ব্যবস্থা ছাড়া ঢালাও অভিযোগের তো কোন ভিত্তি নাই। মিঠুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি সিটিভির ভেতরে পিস্তল নিয়ে ঘুরেন এবং সেটা দেখিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দেন।  এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে খুলশি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও দায়ের হয়েছিল।  মিঠু বলেন, আমার পিস্তলটা ছিল লাইসেন্স করা।  সেটা আমি থানায় জমা দিয়েছি।  অতীতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে পলিটিক্যাল ব্লেইম দিয়ে এখানে পাঠানো হয়েছে।  যদিও আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, কিন্তু আমি কখনোই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।  তবে এখানে পাঠিয়ে আমার ভাল হয়েছে।  আমি এখন পিএইচডি করার সুযোগ পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, সিটিভির সংরক্ষিত এলাকার ভেতরে তাদের জন্য বরাদ্দ করা ব্যাচেলর কোয়ার্টারে বছরের পর বছর ধরে তারা পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। গত ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় ঘণ্টার সম্প্রচার উদ্বোধনের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের আপত্তিতে সেটি পিছিয়ে যায়।  জিএম জা-নেসার বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় সিটিভি যদি ছয় ঘণ্টা সম্প্রচার হয় তাহলে ১৯ জেলার মানুষ ছয় ঘণ্টা বিটিভি দেখতে পারবেনা।  ছয় ঘণ্টা মানুষকে বিটিভির বিনোদন বঞ্চিত রাখা সম্ভব নয়।  এজন্য সিটিভিকে আলাদা সম্প্রচার চ্যানেল করা হচ্ছে।  সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।  ১২ ফেব্রুয়ারি তথ্যমন্ত্রী পরিদর্শনে আসবেন।  এরপর যখনই আদেশ আসবে আমরা আলাদা সম্প্রচারে যাব। শেষ মুহূর্তে এসে এই সংকটও অভ্যন্তরীণ ওই সিন্ডিকেটের পরিকল্পনায় হয়েছে বলে মনে করছেন সিটিভির অন্যান্য কর্মকর্তারা।  নূরুল আজম পবন বলেন, আমরা কি এতই ক্ষমতাবান যে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পও আটকে দেব ? এসব আসলে ফালতু এবং হাস্যকর অভিযোগ।

  • বিষয়:
  • UMo
আরও পড়ুন

সর্বশেষ