রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনস্বপ্ন না থাকলে সাফল্য আসে না

স্বপ্ন না থাকলে সাফল্য আসে না

স্বপ্ন না থাকলে সাফল্য আসে না। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ছিল সুখী সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।  এ দেশকে গড়তে হলে তরুণ সমাজকে মূল হাতিয়ার হিসেবে কাজ করতে হবে।  দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে হবে। রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের এভাবেই দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য মো. আবদুল হামিদ। সভাপতির বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে দূরে হলেও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছিল। ইতিহাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনেক।  এখানকার ডিগ্রিধারীরা গর্বিত।  ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশকে এগিয়ে নিতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন হয়েছে।  নারীর ক্ষমতায়ন বেড়েছে। সমাজের অগ্রগতি যেন বাধাগ্রস্ত না হয় সেজন্য সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি। এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধে ও চট্টগ্রামের রাজনীতিতে যারা গৌরবময় ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের স্মরণ করেন।

গবেষণার আহবান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, গবেষণা উচ্চ শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। যে জ্ঞান কল্যাণমুখী নয় সেটা প্রকৃত জ্ঞান হিসেবে বিবেচ্য হয় না। গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে, উচ্চ শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। দেশে এখন ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েটদের তিনটি দায়িত্ব দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এখান থেকে আজকে যারা গ্র্যাজুয়েট হয়েছেন, উচ্চতর মানবসম্পদের স্বীকৃতি পেয়েছেন, আপনাদের ওপর কিছু দায়িত্ব বর্তাচ্ছে।  তা হলো পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা।

সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য দেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ