ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের মামলায় রায় ঘোষণা করা হচ্ছে আগামীকাল।
রোববার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল মামলাটির কার্যক্রম শেষ করে রায়ের জন্য সিএভিতে (অপেক্ষমান) রেখে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
মামলার কার্যক্রম শেষ হওয়ার প্রায় তিন মাস পর এ রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
গত ১০ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত গোলাম আযমের পক্ষে ১১ কার্যদিবস যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার পক্ষের আাইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও ইমরান সিদ্দিকী।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত প্রথম দফায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও সুলতান মাহমুদ সীমন। এরপর আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন হলে প্রসিকিউশন দ্বিতীয় দফা যুক্তি উপস্থাপন করেন।
জামায়াতের সাবেক এ নেতার বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মতিউর রহমানসহ মোট ১৭ জন সাক্ষী প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে সাতজন ছিল জব্দ তালিকার সাক্ষী এবং ১ জন সাক্ষীর আইও’র কাছে দেয়া জবানবন্দিকে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষীদের ১২ জনের মধ্যে একমাত্র সাফাই সাক্ষী গোলাম আযমের ছেলে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী তার বাবার পক্ষে সাক্ষ্য দেন।
গত বছরের ৯ জানুয়ারি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ৬২টি ঘটনায় পাঁচ ধরনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর ১১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের অভিযোগ আমলে নেন।
মানবতাবিরোধী পাঁচ ধরনের অপরাধের সুনির্দিষ্ট ৬১টি ঘটনায় অভিযুক্ত করে গত বছর ১৩ মে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ১১ জানুয়ারি গোলাম আযমকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বছরের ৯ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়া হয়।