বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়রেলওয়ে পুলিশের সেই এসপিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

রেলওয়ে পুলিশের সেই এসপিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

হাইকোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া রেলওয়ে পুলিশের সাবেক এসপি মোস্তফা কামালকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে বাদীপক্ষকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ। এস এ পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী সালাহ উদ্দিন আহমদকে অবৈধভাবে আটক করে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে দুর্নীতির মামলায় মোস্তফা কামালকে যাবজ্জীবন ও ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালত। পরে হাইকোর্টে আপিল করে খালাস পান তিনি।

২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি মামলার ওই রায়ে হবিগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোস্তফা কামালকে সব মিলিয়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোতাহার হোসেন। দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় সরকারি কর্মকর্তা হয়েও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) এবং দণ্ডবিধির ১৬১ ও ১৬৭ ও দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) প্রমাণিত হওয়ায় আরও ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

মোস্তফা কামালকে আদালত ৩৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। জরিমানার টাকার মধ্যে ৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা ও বাকি ২৫ লাখ টাকা মামলার বাদীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার অবসরপ্রাপ্ত এসআই ওয়াহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন বিচারিক আদালত। ২০০৩ সালের ২০ নভেম্বর এস এ পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী সালাহ উদ্দিন আহমদ পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ও নীলফামারীর পার্বত্যপুর রেলওয়ের এসআই ওয়াহেদ মিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, ২০০২ সালের ২২ ডিসেম্বর তিনি নিজ গাড়িতে ২০ লাখ টাকা নিয়ে সিলেট যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুরে তল্লাশির নাম করে পুলিশ গাড়িটি আটক করে। বাদী তার পরিচয় দিলে রাতে টাকা নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করতে বলে পুলিশ।জিডি করতে থানায় গেলে হবিগঞ্জের তৎকালীন এসপি মোস্তফা কামাল এসএ পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যদের হাজতে ঢোকাতে ওয়্যারলেসে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, এরপর তাকে আটক করে তার নামে মানিলন্ডারিং, মাদক ও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে পৃথক ৩টি মামলা করে পুলিশ।

বাদী আরও উল্লেখ করেন, পরবর্তীতে আসামিরা বাদীর হেড অফিসে খবর পাঠান, আটককৃত ২০ লাখ টাকাসহ ৫০ লাখ টাকা দিলে সকলকে ম্যানেজ করে মামলাগুলো থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ