লতিফ সিদ্দিকীর পদত্যাগের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল-৪ আসনটি শূন্য ঘোষিত হওয়ায় তার এমপি পদ নিয়ে উত্থাপিত বিরোধটি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। তাই, স্পিকারের পাঠানো বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হজ নিয়ে মন্তব্য করায় মন্ত্রীত্ব হারানোর পর আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদও হারান টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। এরপর প্রাথমিক সদস্য পদ না থাকায় দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিলের ব্যবস্থা নিতে স্পিকারকে অনুরোধ জানান। সে মোতাবেক বিরোধটি নিষ্পত্তি করতে ইসিকে চিঠি দেন স্পিকার। তার চিঠির পর গত ২৩ আগস্ট শুনানি করে ইসি। সেখানে উপস্থিত হয়ে লতিফ সিদ্দিকী ইসির কাছে সময় চেয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিচার কাজ মূলতবী করেন। এরই মধ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি পদত্যাগ করেন। ফলে ৩ সেপ্টেম্বর তার পদটি শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সংসদ সচিবালয়। রোববার শুনানির দ্বিতীয় দিনে বাদীর পক্ষে তার আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও লতিফ সিদ্দিকী অনুপস্থিত ছিলেন। পরে তার পদটি শূন্য ঘোষণা করে প্রকাশিত গেজেট বিজি প্রেস থেকে সংগ্রহ করে ইসি সচিবালয়। ইসি সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ সদস্যের কমিশন আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ও প্রয়োজনীয় তথ্য পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে; যা নথিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ অন্য চার কমিশনারের স্বাক্ষরের পর সোমবার তা প্রকাশ করা হতে পারে।
নথিতে উপস্থাপন হয়েছে, সার্বিক পর্যালোচনা করে শুনানির পর ৬ সেপ্টেম্বর রায় প্রদান করেছেন কমিশন; যেখানে বলা হয়েছে- ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব আবদুল লতিফ সিদ্দিকী গত ১ সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে পদত্যাগ করায় দশম সংসদের ১৩৩ টাঙ্গাইল-৪ আসনটি সেই তারিখে শূন্য হয়েছে মর্মে গেজেট সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশিত হওয়ায় এবং ওই গেজেট নির্বাচন কমিশন পাওয়ায় বিচার্য বিষয় ইতিমধ্যে নিষ্পন্ন হয়ে গেছে বিধায় মাননীয় স্পিকার কর্তৃক কমিশনের কাছে প্রেরিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের আর কিছু নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবিলম্বে অবহিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, নথিটিতে সব কমিশনাররা স্বাক্ষর করলেই তা রায় আকারে সব পক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।